বিশেষ প্রতিনিধি :
ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর ও মানহানিকর লেখা পোস্ট দেওয়ায় খুলনার বিজ্ঞ বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল আদালতে বটিয়াঘাটার কথিত প্রতাপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক কবীর আহমেদ খান।
মামলা সূত্রে জানা যায়,কবীর আহমেদ খান দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করে আসছেন। বতর্মান তিনি বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি। সম্প্রতি বটিয়াঘাটা বাজারের কথিত প্রতাপ ঘোষ নামের এক মাদক ব্যবসায়ী ও মদখোর,সাংবাদিক কবীর খানের বিরুদ্ধে গত ২১ মার্চে “প্রতাপ ঘোষ” নামক ফেসবুক আইডি দিয়ে ভিত্তিহীন,কুরুচিপূর্ণ,অশালীন ভাষা ব্যবহার করে একটি মানহানিকর পোস্ট করেন।
সেই লেখায় কবীর খানের মানহানির ঘটনা ঘটেছে। তাই তিনি বাদী হয়ে গত ৪ঠা এপ্রিল ২০২২ইং খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বটিয়াঘাটা বাজারের মৃত্যু যতীন্দ্র নাথ ঘোষের পুত্র প্রতাপ ঘোষ (৫০) এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। যার নং-২৩/২০২২। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা,পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। গত শুক্রবার খুলনা পিবিআই অফিসে সাক্ষীদের ডেকে সাক্ষী গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই অফিসার এস আই শাহাদাৎ হোসেন।
মামলার বাদী কবীর খান বলেন,শুধু আমাকে নিয়ে নয়, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়েও সে তার ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের আইডিতে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কথা লিখে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি করে চলেছে।
ইতোপূর্বে কথিত, লম্পট,চাঁদাবাদ ও নারী লিপ্সু প্রতাপ ঘোষের বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ অভিযোগ। যেমন, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম মামলা করেছিলো, এছাড়া চক্রাখালির ইন্দ্রজিৎ তার নামে আদালতে মামলা করেছিলো, এছাড়া কৈয়া বিধান সড়কের অমলেন্দু তার নামে আদালতে মামলা করেছিলো, তার কাচ লাগানো অফিসে বসে এক মহিলার সঙ্গে অনৈতিক কাজের জন্য ঐ মহিলার স্বামী টিনু তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। অন্যদিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মোঃ আফজাল হোসেনকে নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর লেখার অপরাধে তার নামে উকিল নোটিশ করেন। এছাড়া জনৈক প্রতাপ ঘোষ সম্প্রতি পিআইও অফিসে দুম্বার মাংস আনতে গেলে ইউএনও শান্তি মনি চাকমার সামনে সাংবাদিক নজরুলসহ বেশ কয়েক জন সাংবাদিক তাকে জুতাপেটা করেন। অন্য দিকে, সে নেশা করে মোটরসাইকেল চালানোর সময় গাছের সাথে গাড়ি মেরে দিলে তার হাত ভাঙ্গে। সর্বশেষ থানা মোড়ে চলন্তিকা ভবণে তার অফিস অর্থ্যাৎ ( পুর্বাঞ্চল)লেখা অফিসের আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস খুলনা ১ কে ভুল বুঝিয়ে তার কাছ থেকে টিআর বাবদ ৪৫ হাজার নিয়ে কোন আসবাবপত্র ক্রয় করেনি তিনি নিজেই আত্নসাৎ করেন, এ কাজে বলির পাঠা বানানো হয়েছে পরিতোষ রায়কে,এছাড়া সে পুর্বাঞ্চলের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন দপ্তর থেকে মাসিক চাঁদা দিয়ে থাকেন। এছাড়া থানা ও আদালতে তার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী ঐ লম্পটের শান্তি দাবি করেন।
Attachments area
|
|