মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি করার নামে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী গ্রাহকের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী ঘুষের টাকা না দেওয়াতে কৌশলে বাতিল করে দেয়া হয়েছে আবেদন। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘুষের টাকাও ফেরত দেন সহকারী নাশেব মনির। জানাগোছে, ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে নামজারি করার আবেদন করেন আড়িয়ল চৌধুরী বাড়ীর জনৈক এক ব্যক্তি। ওই সময় চুক্তি অনুযায়ী অগ্রিম ৫ হাজার টাকা মনিরকে দেয়া হয়। কথা থাকে নামজারি সম্পন্ন করে বাকী টাকা নিবে। আবেদন দেয়ার সময় মনির ভুক্তভোগীকে বলেন, দাবিকৃত টাকা দিলে হয়রানি ছাড়া নামজারি সম্পন্ন করে দিবেন। কিন্তু মনির নামজারি সম্পন্ন না করেই বাকী টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে ভুক্তভোগী অস্বীকার করলে তার নামজারি আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীকে জানান মনির। বিষয়টি ভুক্তভোগী একাধিক সংবাদকর্মীকে জানান। পরে এই বিষয়টি সর্ব মহলে জানাজারি হলে সহকারী নায়েব ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত দেন। বিষয়টি স্বীকার সহকারী নায়েব বলেন, আমি তার কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছি তা ফেরত দিয়েছি। ওনি যে পরিমাণ জায়গা পাবে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ জায়গা আবেদনে উল্লেখ করায় তা নামজারির আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে। ওই সময় তার পক্ষ নিয়ে আউট সোর্সিং এর কম্পিউটার অপারেটর শুভ বলেন, টাকা নিছে টাকাও ফেরত দেয়া হয়েছে। আপনি এখানে সরকারি কম্পিটার ব্যবহার করে কিভাবে কাজ করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কম্পিউটার অপারেটর বলেন, আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে এসিল্যান্ডের কাছে লিখতভাবে উপস্থাপন করেন। আড়িয়ল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম বলেন, আমার অফিসের কেউ অনিয়ম করলে সেটা আমি দেখবো। এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের আসার দরকার নেই। শহরের অনেক সাংবাদিক আমার পরিচিত। তারা সকলে জানে আমি কোনো অনিয়ম করি না।
এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।