কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (কুসিক) ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। প্রধান দুই প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রাথী আরফানুল হক রিফাত এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘড়ি প্রতীকের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এরই মধ্যে ৯৪ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। এতে এগিয়ে আছে নৌকা।
বিজ্ঞাপন
তবে ঘটনাস্থলে দুই পক্ষের উত্তেজনার কারণে ফল ঘোষণায় বিঘ্ন ঘটছে বলে জানা গেছে।
সাক্কু এবার নির্বাচনে জয়ী হলে তিন বারের মতো কুমিল্লার নগর পিতা নির্বাচিত হবেন। এদিকে রিফাত নির্বাচিত হলে প্রথমবার হবেন নগর পিতা।
এ পর্যন্ত ৯৪ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ আরফানুল হক রিফাত (নৌকা) পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৯৩ ভোট। সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৭ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেক ভোটে পিছিয়ে আছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ইভিএমে। নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১০৫টি। রাতের মধ্যেই জানা যাবে কে হচ্ছেন কুমিল্লা সিটির পরবর্তী নগর পিতা।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ইভিএমে। নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১০৫টি। রাতের মধ্যেই জানা যাবে কে হচ্ছেন কুমিল্লা সিটির পরবর্তী নগর পিতা।
এদিকে ৯০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পর করার পর রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী বিরতি ঘোষণা করেছিলেন। এ সময় তিনি কাউন্সিলরদের ফল আগে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে নৌকা ও ঘড়ির সমর্থকরা।
তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাক্কুর পক্ষে নৌকা ও ঘড়ির স্লোগান দিতে থাকে। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সেখানে। তারা আগেই মেয়র প্রার্থীদের ফল ঘোষণার দাবি জানায়। পরে আবারো ফল ঘোষণা শুরু করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রাত পৌনে ৯টায় ৩০ জনকে নিয়ে সাক্কু ঘটনাস্থলে আসেন। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।