অস্ত্র হাতে নারীকে মারধোর করে মোবাইল ছিনিয়ে নিলেন ডিএসসিসির ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর

received_891808102212500.jpeg

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউল হক জিয়ার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন এক নারী। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সবুজবাগ থানায় ইভা আক্তার নামে এক নারী এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ৭৩ নং ওয়ার্ডে ভাইদিয়া এলাকায় সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর নাসরিন আহমেদের কাছ থেকে টিসিবি কার্ড গ্রহন করেন ওই এলাকার ৪০/৫০ জন নিরীহ গরীব মানুষ। এই কার্ড গ্রহনে হারুন সহযোগীতা করেছেন মনে করে ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউল হক জিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে (হারুনকে) মার ধর করে ।টিসিবি কার্ডের সুত্রধরে গত ৮ জুলাই দুপুরে জুম্মার নামাজের পর ঝগড়ার সৃষ্টি হলে কাউন্সিলর জিয়াউল হক জিয়া হারনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

গালিগালাজ করতে মানা করায় একপর্যায়ে তিনি তাকে কিল, ঘুষি মেরে জখম করেন।তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কাউন্সিলর জিয়া সটকে পরেন।পরে জিয়ার কাছে কে বা কাহারা বলেন যে মসজিদের সামনে ঐ মারামারির দৃশ্য মোবাইলে ইভা নামে এক নারী ভিডিও করেছেন।পরে এ খবর জানতে পেরে কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউল হক জিয়া ও তার ভাতিজা শিপু আলভী,নয়ন সহ ১০/১২ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রহাতে ভাইগদিয়া এলাকার বেলায়েত মিয়ার স্ত্রী ইভাকে বাড়িতে গিয়ে মারধোর করেন।

বেলায়েত জানান, জিয়া এলাকায় অনেক প্রভাবশালী। তিনি ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর । তিনি কিভাবে একজন নারীর গায়ে হাত তোলার সাহস পান। আমি এর বিচার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।

ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ৭৩ নং ওয়ার্ডের ভাইদিয়া এলাকায় সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর নাসরিন আহমেদ জানান,”আমাকে মোবাইল ফোনে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান আমার কাছ থেকে টিসিবির কার্ড নেয়ায় কাউন্সিলর জিয়া হারুনকে মারধোর করেছে,বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তারা।”
ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে বিষয়টি জানার জন্য মোবাইলে চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

কাউন্সিলর মো. জিয়াউল হক জিয়া মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অবৈধভাবে আমার ভিডিও করেছিল ঐ মহিলা তাই তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিয়েছি,আপনারা সাংবাদিকরা যা পারেন তাই করেন।

সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান,এ রকম কোন অভিযোগ পাইনি পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগেও কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউল হক জিয়ার বিরুদ্ধে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সাবেক নাসিরাবাদ ইউনিয়নে (ভাইগদিয়া) এলাকায় একের পর এক জমি দখল, মাদক ব্যাবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ,এলাকায় চলাচলকারী সিএনজি ও ব্যাটারীচালিত অটো রিকসা ইজিবাইক পরিবহনে চাঁদাবাজি,অবৈধ ড্রেজার ব্যাবসা, জুয়ার আসর পরিচালনা সহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয়।

জিয়া মাত্র ছয় মাস পুর্বে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।তার পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে চায় না।তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top