বাউফলে যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়ার চেষ্টা

received_488422539622514.jpeg

মো:ফিরোজ,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে তানজিল হোসেন(২২) নামের এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ তার সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গত শনিবার ভোর রাতে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় মেয়ে পরিবারের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না ভুক্তভোগী ছেলের পরিবার। উল্টো ছেলে পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাগেছে, প্রেম গঠিত বিষয়ে ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারী মাসে একই এলাকার আ. মান্নান গাজীর মেয়ে রুবিনা বেগমের সাথে তানজিল হোসেনের বিয়ে হয় পরিবারের অমতে। বিয়ের পর লোক লজ্জার ভয়ে এলাকা ছেরে চলে যান তানজিল। এর পর গত ১৩ আগষ্ট স্ত্রী রুবিনার পরিবার স্থানীয় কাজির মাধ্যমে ১লাখ ৪০হাজার টাকা আদায়ে তানজিল হোসেনকে তালাক দিয়ে দেয়। গত এক সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে তানজিল নিজ বাড়িতে আসেন। তার (তানজিলের) ভাষ্যমতে ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাহিরে গেলে রুবিনার ভাই আ: কুদ্দুসের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল পিছন থেকে মুখ বেঁধে (মেয়ের বাড়িতে) তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতন চালায়। সেখানে কুদ্দুসের নিজ বসত ঘরের সিঁদ (নিজেরা) কেটে তানজিলকে চোর সাব্যস্ত করতে চেষ্টা চালায়। পরে তারা তানজিলকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তানজিলের পুরুষাঙ্গ কেট নেয়ার চেষ্টা চালায়। তানজিলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে সকাল ৬টার দিকে তানজিলের পরিবার পুলিশ নিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এসময় রুবিনার ভাই মামলা না করতে তানজিলের পরিবারকে হুমকি দেয়। পরের দিন তারা উল্ট মামলা করে তানজিলের পরিবারের লোকদেরকে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে তানজিলের মা পারভিন বেগম জানান, তানজিল ঘরের দরজা খোলা রেখে বাহিরে যায়। অনেক সময় ধরে ঘরে ফিরছে না দেখে আমরা খুজতে বের হই। এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। অবশেষে ভোর সারে ৫টার দিকে জানতে পারি তানজিল রুবিনার পরিবারের কাছে আটক রয়েছেন। পরে ৬টার দিকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দিবা দেবনাথ জানান, তানজিলের পুরুষাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৩সেন্টিমিটার কাটা চিহ্ন রয়েছে। ৬-৭টি সেলাই লেগেছে। তার হাতে সেলাই করতে হয়েছে। এছারা শরীরের ভিবিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশের এস আই নাসির হোসন জানান, শনিবার ভোরে ৯৯৯ অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমিসহ আরও কয়েক পুলিশ সদস্য মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করি। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তানজিলকে উদ্ধার করে। তার চিকিৎসা চলছে।এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top