স্টাফ রিপোর্টার:
অস্ত্র ও সন্ত্রাসী মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী এবং আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সর্দার সম্প্রতি মিরেরসরাই অঞ্চলে সংঘটিত তিনটি ডাকাতির মূলহোতা রুবেল ও তার ৩ সহযোগী ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের মীরসরাই থানাধীন বড়তাকিয়া বাজার এলাকার একটি কালভার্টের উপর ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ৫/৬ জন ডাকাত অবস্থান করছে।এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩রা মার্চ রাত আনুমানিক তিনটায় র্যাব-৭,চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল অভিযান করে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া ইউনিয়নের মৃত মনির হোসেন ছেলে রুবেল(৩০),একই এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে আনোয়ার হোসেন(৫২),সন্দ্বীপ মুছাপুর ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নোমান(৫০) এবং সন্দ্বীপ খুইন্নারগুর মৃত এমরানের ছেলেকাদের(৪০)কে আটক করেন।
রুবেল সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর জলিল বাইতুর শরীফ মসজিদের ভাড়া ঘরে,আনোয়ার সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে পারভেজ কন্ট্রাক্টরের বিল্ডিংয়ে,নোমান চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার শেরশাহ বিহারী মসজিদের সামনে এবং কাদের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট বাজারের পশ্চিমে কামালের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা আরো ২ জন সহযোগী আসামীর সহায়তায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে পরস্পর জ্ঞাতসারে ঘটনাস্থলে সমবেত হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও দেহ তল্লাশীর একপর্যায়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মূখে ১নং আসামী রুবেলের পরিহিত প্যান্টের কোমরে গুজানো স্টিলের তৈরী ১টি টিপ ছোরা,২ নং আসামী আনোয়ার হোসেনের প্যান্টের কোমরে গুজানো স্টিলের তৈরী ১টি টিপ ছোরা,৩নং আসামী নোমানের প্যান্টের কোমরে স্টিলের তৈরী ১টি টিপ ছোরা এবং ৪নং আসামী কাদেরের প্যান্টের কোমরে ১টি কাঠের হাতল যুক্ত ছোরা আসামীরা নিজ হাতে বের করে দেয়।ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সর্বমোট ৪টি ছোরা উদ্ধারসহ আসামীদের’কে গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়,তারা জোরারগঞ্জ, মিরসরাই ও সীতাকুন্ড এলাকার সংঘবদ্ধ ডাকাতআক্র। তারা বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়ে হাইওয়ে রোডে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।গ্রেপ্তারকৃত আসামী রুবেল,আনোয়ার হোসেন,নোমান,কাদেরসহ অজ্ঞাতনামা ২ জন আসামী পরস্পর জ্ঞাতসারে মারাত্মক অস্ত্রসহ ডাকাতির উদ্দেশ্যে বর্ণিত ঘটনাস্থলে সমবেত হয়ে হাইওয়ে রোডে ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহন করছিলো বলে নিজ মূখে স্বীকার করে।
আটককৃত আসামী রুবেলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া,হাটহাজারী এবং সীতাকুন্ড থানায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই সংক্রান্ত সর্বমোট ৩টি মামলা পাওয়া যায়,আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় মারামারি ও ছিনতাই সংক্রান্ত ২টি মামলা পাওয়া যায়,নোমানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ ও জোরারগঞ্জ থানায় অবৈধ অস্ত্র,চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই সংক্রান্ত ৫টি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ্ থানায় ১টি অবৈধ অস্ত্রের মামলাসহ সর্বমোট ৬টি মামলা পাওয়া যায়,কাদেরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানায় ডাকাতি সংক্রান্ত ১টি মামলা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।