“যাত্রাবাড়ী চৌরাস্থার ফুটপাত এখন হকারদের গর্ভে,কতৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যাথা”

IMG-20231009-WA0001.jpg

আফিফা নৌশিন:

যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার ফুটপাত দখল করে রেখেছে ভ্রাম্যমাণ হকাররা। এছাড়াও স্থানীয় দখলদারেরা ফুটপাতের জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। প্রতিদিন ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনাও।যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ও ব্যস্ততম সড়কের ওপর বসা এই হকারদের উচ্ছেদে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা ও নেওয়া হচ্ছে না।

যাত্রাবাড়ী শেখ রাসেল পার্কের সামনে সবচেয়ে বেশী হকার বসে থাকে এছারাও সামাদ সুপার মার্কেট ও তার আশে পাশের সমস্ত মার্কেটগুলোর সামনেই বসে হকার দের রমরমা ব্যবসা। সড়কের মাঝখানে এসব হকাররা একটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যান নিয়ে শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, এবং টুকরী ও অস্থায়ী টং দোকান নিয়ে বিভিন্ন ফল ও খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করছে।

আমাদের ধারনা এখানে যেসব হকার রয়েছে, এদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে ব্যবসায়ী মালিক সমিতির লোকেরা। পাশাপাশি যে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করবে, সেসব দোকানদারও নিয়মিত চাঁদা আদায় করছেন হকারদের কাছ থেকে। যে কারণে ফুটপাতে হকার ব্যবসায়ীদের আনাগোনা একটু বেড়ে গেছে। প্রশাসন মাঝে-মধ্যে একটু নজরদারি করলেও আবার এসব হকার জড়ো হয় ফুটপাতে।

পথচারীরা বলেন, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় অতিমাত্রায় হকার বেড়েছে। আমরা পথচারীরা কম মূল্যে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য এই হকারদের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকি। যে কারণে আরো বেশি ভীরের সৃষ্টি হয়।

মাঝে-মধ্যে সিটি কর্পোরেশন থেকে এসব অবৈধ ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। কিন্তু আবার কয়েক দিন পর আগের মতো ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করে নেয় এসব হকার। মূলত তাদের পাশে রয়েছে একটি বড় সিন্ডিকেট, যাদের ছত্রছায়ায় এসব ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আরো যানজট তৈরি হবে। নগরীর সৈান্দর্য কমে যাবে। এছাড়াও এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাড়তে পারে সংক্রমণ।

যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় পথচারীরা আনন্দের সঙ্গে হাঁটতে পারে,যাত্রাবাড়ীতে শেখ রাসেল পার্কের মত এত সুন্দর একটা পার্ক থাকার পর ও জনসাধারনরা এবং বাচ্চারা স্বাচ্ছন্দে ঘুরতে পারে না সময় কাটাতে পারে না।

শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর ফের যাতে বেদখল না হয় সেজন্য নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
তাই আমরা সংশ্লীস্ঠ কতৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছি যেনো দ্রুত এসব ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top