নুর নবী:-
চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৮১ জন উইন্সম্যান/ক্রেন অপারেটর বন্দর শ্রম শাখায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরা বন্দরের বিভিন্ন কোম্পানিতে/বার্থে কর্মরত আছেন।
বন্দরের পূর্ব ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী এদেরকে কোম্পানিতে যোগদানের তারিখ হইতে গ্র্যাচুয়েটি প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই মর্মে অপারেটরেরা নিজ নিজ কোম্পানিতে কর্মে যোগদানের তারিখ নিশ্চিত করে। বন্দর থেকে, বন্দর,বি এম এস ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি ঘটন হয়।
আর এই কমিটির মাধ্যমে ৫৮১ জন কর্মরত অপারেটরদের কর্মে যোগদানের তারিখ নির্ণয়ক্রমে কার্যক্রম চালু হয়।
তার মধ্যে দেখা যায় কর্মরত ৫৮১ জনের মধ্যে প্রায় ১৫ টা কোম্পানির প্রায় ১১১ জন অপারেটরের কর্মে যোগদানের তারিখ দুই রকমের তারিখ অর্থাৎ ভুল বলে জানা যায় এবং যাদের যোগদানের তারিখ ভুল রয়েছে তাদেরকে আগামী ১০ তারিখের মধ্যে ভুল সংশোধন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আর এই ভুল কিভাবে হলো এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর উইন্সম্যান/ক্রেন অপারেটর সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন দৈনিক দিন প্রতিদিনকে জানান,, দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে পুঁজি করে চট্টগ্রাম বন্দরে কিছুসংখ্যক বিএনপি জামায়াত থেকে আশা শ্রমিক প্রতিনিধিরা বন্দরের মালিক পক্ষকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে বন্দর থেকে ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
বেলাল হোসেন আরো বলেন,, আমি দীর্ঘদিন যাবত তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম প্রতিরোধ করে যাচ্ছি,, কিন্তু তাদের সিন্ডিকেট অনেক মজবুত হওয়াতে আমি ও আমার কর্মগন তাদের হাতে বহুবার দাঙ্গা হাঙ্গামা মামলা মোকদ্দমা সহ নানান প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছি।
তারি ধারাবাহিকতায় ঐ সকল নিয়মকারীরা মালিকপক্ষ ও অপারেটরদেরকে বিভিন্নভাবে ভুলভাল বুঝিয়ে নানান প্রতিকূল সমস্যার সৃষ্টি করছে।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার কারী শ্রমিক কর্মচারী লীগ সিবিএ ২৭৪৭ এর মেয়াদ উত্তীর্ণহীন অনির্বাচিত সভাপতি মীর নওশাদ ও চট্টগ্রাম বন্দর উইন্সম্যান/ক্রেন অপারেটর সমিতির তিন বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উল্যাহ সহ তাদের কিছু সিন্ডিকেট।
এই বিষয়ে জানার জন্য সংগঠনের সভাপতি মীর নওশাদ ও উইন্সম্যান সমিতির তিন বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উল্যাহর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
বাংলাদেশের প্রধান আইয়ের উৎস হচ্ছে এই চট্টগ্রাম বন্দর।আর এই বন্দরে দীর্ঘদিন যাবৎ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই অপারেটরা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই অপারেটরদের আশার বাতি জ্বলে উঠলো গ্যাচুয়েটির মাধ্যমে।
অথচ দুঃখের বিষয় হলেও সত্য এই অপারেটরদের কর্মে যোগদানের তারিখ ডি টি এম এ ভুল পেরন করা হয়েছে।
দায় এড়ানোর চেষ্টা সিন্ডিকেটে থাকা শ্রমিক নেতাদের।
শ্রমিকদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক নেতাদের গ্রুপিং মামলা হামলা দাঙ্গা হাঙ্গামা বন্ধের। পাশাপাশি তাদের ন্যায্য দাবি প্রদানের বিনীত অনুরোধ। শ্রমিকরা আরো বলেন চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো গতিশীল ও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাবেন।
তাই শ্রমিক নেতাদের গ্রুপিং সহ সকল অনিয়ম দুর্নীতি করার জন্য প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে।