কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের মানবিক পুলিশ কনস্টেবল জাহিদ ইবনে হিমেল ।

received_936888231474164.jpeg

মোঃসুমন মিয়া,জেলা প্রতিনিধি:-
কিশোরগঞ্জ একজন মানবিক পুলিশ হিমেল/জাহিদ
এই দুনিয়াতে কিছু মানুষের জন্ম হয় নিজের তরে নই অন্যের তরে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য।এমন মানুষ আগে পাওয়া যেতো অনেক কিন্তু বর্তমানে তা অমাবস্যার চাঁদ যা খুজে পাওয়া খুবই কঠিন।মানুষ নিজের চিন্তা চেতনা নিয়ে সবাই ব্যাস্ত।তবে বিভিন্ন রকমের উপাদানে সাজানো বৈচিত্র্যময় কিছু মানুষ এ সমাজে আছে বলেই হয়তো এখনো সামাজিক অবকাঠামো ঠিক আছে। আজকে ব্যাতিক্রম এমন একজন মানবিক মানুষের কথা তুলে দরবো।তিনি তার সততা, একাগ্রতা, ন্যায়পরায়ণতা,উদারতা, কর্মনিষ্ঠা,নিরহংকার ও নির্ভীক ভাবে সবার অজান্তে সাধারণ মানুষের জন্য বিগত দিনে কাজ করে আসছেন।সাধারণ মানুষের সাথে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও অকৃত্রিম ভালোবাসায় তার কর্মস্থল ও নিজ এলাকা সহ আশ পাশের এলাকায় সবার প্রিয় হয়ে উঠেছেন।এইরকম একজন নির্লোভ ও বহু কৃতিত্বের অধিকারী ব্যাক্তি সাধারণ মানুষ ও সমাজের জন্য নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন নিজের শত কর্ম ব্যাস্ততার মধ্যেও।আর্তমানবতার কাজে নিয়োজিত সেই মানুষটির নাম মোঃজাহিদুল ইসলাম হিমেল।কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নে আদর্শ ইকরআটিয়া গ্রামের বীর পরিবারে তার জন্ম।তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ মিয়া,যিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রণাঙ্গনের বীর যুদ্ধা ছিলেন।তার মমতাময়ী মা সেলিনা আক্তার।
তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কনস্টেবল পদে একজন গর্বিত সদস্য হিসেবে কর্মরত।
চাকরি জীবনের পাশাপাশি নিজেকে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।তার কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন,২০২০ সালে যখন করোনা মহামারিতে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই মহামারী ছড়িয়ে পরে স্তব্ধ হয়ে পরে জনজীবন।তখন নিজের এলাকায় তরুণ যুবক,প্রবীণ ও প্রবাসীদের নিয়ে রক্তদান প্লাটফর্ম আলোর পথিক ফাউন্ডেশন নামে গড়ে তুলেছেন একটি মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সকলের সহযোগিতাই উক্ত সংগঠন থেকে নিজেদের এলাকা সহ আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের মানবিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম সফলতার সাথে সম্পন্ন করে আসছে।যে কোন মানবিক কাজে তারা নিজেদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।রক্তদান কে তারা একটা মানব সেবার সবচেয়ে সহজ পথ বেচে নেন।এখন পর্যন্ত তিনি ৫ বার রক্ত দান করেছেন এবং তাদের ফাউন্ডেশন থেকে প্রায় ২৫০ জন মুমুর্ষ রোগীকে রক্ত দান করতে সহায়তা করছেন।কর্মব্যস্ততার মধ্যেও যদি তার কাছে রক্তের রিকোয়েস্ট আছে তিনি তাদের ফাউন্ডেশন ও আশ পাশের বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগীতায় রক্ত সংগ্রহ করতে রোগীদের
সহযোগিতা করেন।তিনি জানান তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ মিয়ার পরামর্শতেই মানবিক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ধরেছেন এবং জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত নিজেকে মানবিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রাখতে চান।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top