স্টাফ রিপোর্টার,ইমদাদুল ইসলাম:-
হবিগঞ্জ মাধবপুর উপজেলা বুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কানিজ ফাতিমা পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামীর বাড়ি বিক্রির নগদ ১২ লাখ টাকা এবং নগদ সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার সাথে করে নিয়ে গেছেন কানিজ ফাতিমা।
তবে রেখে গেছেন দুই পুত্রসহ এক কন্যা সন্তানকে। বড় কন্যার সন্তান তার বয়স ১৭, প্রথম ও দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের যথাক্রমে বয়স যথাক্রমে ১৪ ও ৯।
কানিজ ফাতেমার স্বামী মিজান মিয়া ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আপন খালাতো বোন কানিজ ফাতেমাকে। দীর্ঘ ২০ বছর সংসারও করেছেন। এ পর্যায়ে এসে স্ত্রী গনেশ প্রতিমা এক খেলনা বিক্রেতার সাথে পালিয়ে যাবে তা কল্পনাও করতে পারেনি। গ্রামে গ্রামে গিয়ে খেলনা বিক্রেতা নাম ওয়াসিম মিয়া। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শাহবাজপুর গ্রামে।
জানা যায়, কয়েক মাস পূর্বে কানিজ ফাতিমা ওয়াসিম মিয়ার সাথে পালিয়ে যায়। পরে আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় তাকে নিয়ে এসে স্বামীর কাছে বুঝিয়ে দেয়। আবারো স্কুল শিক্ষিকা পালিয়ে যায়।
মিজান মিয়া জানান ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কানিজ ফাতিমা তার সাথেই ছিল। পরে পহেলা সেপ্টেম্বর তাকে তালাক দেয়া হয়। একসাথে সংসার করা অবস্থায় পূর্বের তারিখে তাকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্বামী ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০ দিনের ছুটি নেয় কানিজ ফাতিমা। পরে আরও এক মাসের ছুটির আবেদন করে।
ইতিমধ্যে ওয়াসিম মিয়াকে সে বিয়ে করে এখনো ওয়াসিম মিয়ার সাথেই রয়েছে বলে জানা যায়। সতর্কতামূলকভাবে ওয়াশিম মিয়ার সাথে কানিজ ফাতেমার বিয়ে ও ডকুমেন্ট গোপন করা হচ্ছে বলে জানান মিজান মিয়া।
তিনি জানান কানিজ ফাতিমা পালিয়ে যাওয়ার সময় বানেশ্বর এর বাড়ি বিক্রির নগদ ১২ লাখ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত: একটু ভালো থাকা ও ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার কথা বিবেচনা করে কানিজ ফাতিমার পরামর্শেই মিজান মিয়া বাড়ি বিক্রি করেন।
সেই টাকা দিয়ে মাধবপুর সদরে জায়গা কেনার কথা ছিল। বর্তমানে কানিজ ফাতিমা ও ওয়াসিম মিয়া অজ্ঞাতস্থানে বসবাস করে আসছে। প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ, তালাক কার্যকর না হওয়ার পরও দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ সহ বিভিন্ন অভিযোগে কানিজ ফাতিমার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মিজান মিয়া।