অনলাইন ডেস্ক :-
কথা সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নিষাদ হুমায়ূনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। যেখানে তাকে বাবা হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে নস্টালজিক হতে দেখা গেছে। বাবাকে নিয়ে তার অনুভূতির নিখাদ ও সহজ অভিব্যক্তির সেই ভিডিও হুমায়ূন প্রেমীদের হৃদয় কেড়েছে।
গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক-লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মবার্ষিকীতে তার ছেলে নিষাদ হুমায়ূন সময় সংবাদের ক্যামরায় এ অনুভূতি প্রকাশ করে।
বাবার কথা মনে পড়লে কেমন লাগে? এমন প্রশ্নে নিষাদ আনমনে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন। তারপর বলেন, বাবার কথা মনে হলে মনটা একটু ম্যালানকলিক লাগে।
‘বাবার ব্যাপারে মনে পড়লে আমি কি করি! আসলে বাবার জন্যই তো আমি সব কিছু করি, তাই না? বাবার কথা মনে পড়লে মনটা একটু ম্যালানকলিক লাগে, নস্টালজিক লাগে। ম্যালানকলি ব্যাপারটা কি, মনটা একটু খারাপ খারাপ লাগে, কিন্তু ডিপ্রেসিভ কিছু না। মনটা বলে, ইশ্! বাবা যখন ছিল খুব ভালো ছিল বা বাবা থাকলে খুব ভালো লাগতো। কোনো আহামরি কিছু না।’ বলেন নিষাদ।
ম্যালানকলি অনুভূতিকে আরও স্পষ্ট করে নিষাদ বলেন, ‘মানুষ ম্যালানকলিক বা নস্টালজিক থাকলে তারা গম্ভীর হয়ে থাকবে না। হালকা একটু স্মাইল করে থাকবে, চিন্তা করবে; ইশ্ মজা ছিল অথবা মজা হতো।’
অনুভূতি বোঝাতে নিষাদ টেনে আনেন উদাহরণ। বলেন, ‘আমাদের মাঝে মাঝে মনে হয়, দশ বছর আগে আমার ভালো লাগতো যখন স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে গিয়ে ভলিবল খেলাতাম। এখন তো সেটা নাই।
এদিন নিষাদ প্রকৃতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, বিষণ্নতা খুব ভয়ংকর একটা জিনিস তবে প্রকৃতিতে অন্যরকম একটা শান্তি পাওয়া যায়।
নিষাদ হুমায়ূন বলেন, ‘আমরা তখন সত্যিকারের খুশি হতে পারবো যে সময় টাকা, ফোন এসব না চেয়ে প্রকৃতির মাঝে একটু শান্তিতে থাকার চেষ্টা করবো। ফোনের জন্য কোনো শান্তি নেয়।
প্রকৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নুহাশ পল্লীতে আসলে আমি অনেক কিছু ভুলে যায়। শহরের মধ্যে অসুবিধাটা হচ্ছে ইন্টারনেট না থাকলে ঘরে বসে কী করবো।’
নিষাদের ভাষ্য, ‘এ সুন্দর একটা জায়গার মধ্যে শুধু এই আবহাওয়া এই রোদটা এই বাতাসটা অন্যরকম লাগে। এখানে আসার আগে ডেটা কিনেছি ভাবলাম ইন্টারনেট না থাকলে কী করবো, এখানে আসার পরে ফোন হাতে নেইনি, প্রকৃতির মাঝে রয়েছি।’
নিষাদ বলেন, ‘আমরা মানুষ হিসেবে এত জিনিস চায় কেন। আমার মাধে-মধ্যে মনে হয় যদি নতুন আইফোনটা থাকতো যদি এয়ারপডস প্রোসহ নতুন গাড়ি থাকতো। কিন্তু এখানে এসে সব ভুলে যায়, মনে করি যে শুধু এ জায়গায় বসে একটা আরাম পাওয়া যায়।’
তার কথায়, ‘আমি সাইকো থেরাপিস্ট হতে চাই। ব্যাপারটা হচ্ছে একটা মানুষের যদি বিষণ্নতায় থাকে তবে প্রকৃতির মাঝে থাকলে খুব সাহায্য করতে পারবে উনাকে। বিষণ্নতা খুব ভয়ংকর একটা জিনিস তবে প্রকৃতিতে অন্যরকম একটা শান্তি পাওয়া যায়।