মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ লৌহজংয়ে লোকালয়ে চিতাখোলা নির্মাণে এলাকাবাসীদের আপত্তি। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের চারিগাঁও গ্রামে ঘন জনবসতি লোকালয়ের সরকারি জায়গায় চিতাখোলা নির্মাণে এলাকা বাসীরা আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু গ্রামের একটি পক্ষ সরকারি জায়গার মধ্যে লোকালয়েই চিতাখোলা নির্মাণে জোর চেষ্ঠা বা জোর তদবীরে সচেষ্ট রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একই উপজেলার মালির অংকে এলাকায় সুবিশাল চিতাখোলা থাকা সত্বেও রহস্যজনক ভাবে চারিগাঁও গ্রামেই কেন বা আরেকটি চিতাখোলা নির্মাণ করতে হবে তা নিয়ে এখানে নানা জনের নানামত দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে চারিগাঁও গ্রামের মৃত সুবল দাসের পুত্র বাবুল দাসসহ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি গত ১১ অক্টোবর ২০২১ খ্রিস্টাব্দে লৌহজং সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সময়ে তার আবেদনের পরিপেক্ষিতে লৌহজং সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস তাদের ১০ শতাংশ জায়গার মধ্যে জন সাধারণ যাতে প্রবেশ না করে সেই মর্মে নোটিশসহ একটি সাইন বোর্ড গাছের ওপরের অংশে টাঙ্গানো হয়।
কিন্তু সেই নোটিশের আদেশ উপেক্ষা করে গ্রাম্য মোড়লরা গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দে রাতের আঁধারে আলোচিত সরকারি জায়গায় এক ব্যক্তির দেহ দাহ করেন।
এ ঘটনায় সেখানে বর্তমানে আলোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনার পরপরই সেখানকার সাইনবোর্ডটিকে কে বা কাহারা পূর্বের জায়গা থেকে একটু সরিয়ে নিচে নামিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এখানে হিন্দু ধর্মের লোকজনকে দাহের ঘটনায় এর আশপাশের ঘনবসতিতে বসবাসকারী লোকজনরা অনেকটাই আতংকের মধ্যে রয়েছেন। যেখানে সেদিন যে ব্যক্তিকে দাহ করা হয়, তার কয়েক হাত দূরেই বসবাস করেন বাবুল দাসের পরিবার পরিজনরা। আর এর উল্টো দিকেই বসবাস করেন একাধিক মুসলিম পরিবার। সরকারি ১০ শতাংশ এ জায়গার সিএস হচ্ছে ২১৬।
আর আরএস হচ্ছে ২৫১। লোকালয়ের সরকারি এ জায়গাতে যদি নিয়মিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দেরকে দাহ করা হয় তবে এখানে অন্য ধর্মের লোকজদের বসবাস অনেকটাই হুমকির মধ্যে পড়বে বলে অনেকে মনে করেন। সাধারণত একটি মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে দাহ করা হলে অনেকটাই সময় লাগে। এছাড়া পুড়ে যাওয়া মানুষের লাশের গন্ধ এর চারপাশের বসতিতে বাতাসের মতো ছড়িয়ে যায়। তাতে এলাকাটি ঘুমোট পরিবেশে পরিণত হয়।
দেখা গেছে যারা মৃত দেহ পোড়েন, তারা এর গন্ধ থেকে দূরে থাকতে প্রচুর পরিমাণে বাংলা মদ প্রাণ করেন। মদ প্রাণ ছাড়া তারা কোন ভাবেই এ কাজটি করেন না। এর ফলে এ বিষয়টি অন্য ধর্মের লোকজনদের অনেকটাই আপত্তি দেখা গেছে।
এখানকার বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তি অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, মালিরঅংক এলাকায় তাদের জন্য নির্ধারিত চিতা খোলা রয়েছে। সেখানে দাহ করা হলে ভালো হয়।