মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জে প্রকাশ্যে এক ব্যবসায়ীসহ দু’জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এছাড়া আতঙ্ক ছড়াতে এলাকা জুড়ে অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
গত শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার পূর্বরাখি এলাকায় তাঁদের কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে আতঙ্ক ছড়াতে গভীর রাত পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ এবং প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে ।
আহতরা হলেন, দিঘীরপাড় বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমরান বেপারি (৪০) ও তাঁর খালাতো ভাই রাব্বি হোসেন (২২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দিঘীরপাড় বাজারে যাওয়ার পথে স্থানীয় ড্রেজার ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা শাহাদাত বেপারি (৪৮) ও কিশোর গ্যাং লিডার হাবিব হোসনের (১৭) নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে তাঁদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দিঘীরপাড় বাজার ব্যবসায়ী রফিকুল খাঁন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ দু’টি পক্ষের মধ্যে দন্দ চলছিল। ওইদিন বিকালে ইমরান ও রাব্বি দিঘীরপাড় বাজারে যাওয়ার পথে শাহাদাত বেপারি লোকজন নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। পরে দিঘীরপাড় বাজারে আলী আজগরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়। এছাড়া গভীর রাত পর্যন্ত ককটেল বিস্ফোরণ করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
মামলার বাদী সোহেল টিটু জানান, ছোট ভাই ইমরান ও খালাতো ভাই রাব্বির ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহাদাত বেপারি ও হাবিব হামলা চালিয়েছে। তাঁদের সাথে থাকা মুঠোফোন, স্বর্ণের চেইন, আংটি ও নগদ ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা ছিনতাই করে। পরে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতে গভীর রাত পর্যন্ত ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহাদাত বেপারী জানান, জমি নিয়ে পূর্ব থেকেই আমাদের মধ্যে বিবাদ চলছিলো। গতকাল বাজারে হাতাহাতি হয়। এ সময় দোকানের ঝাপ ভেঙে উভয় গ্রুপের লোকজন আহত হয়।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার এস আই রাসেল জানান, অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।