মুন্সীগঞ্জ‌ সিরাজদিখানে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধর উপর হামলা

received_1791336508316803.jpeg

মুন্সীগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় আলী আজগর শেখ (৫৮) নামে এক ব্যক্তির উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দুুপুরে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের গুয়াখোলা (আগলাপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুত্বর আহত ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সে গুয়াখোলা (আগলাপাড়া) গ্রামের মৃত কসুম উদ্দিন শেখের ছেলে। এঘটনায় সিরাজদিখান থানায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা জানায়, গুয়াখোলা গ্রামে অবস্থিত আগলাপাড়া জামে মসজিদের ফিছনে দুপুর অনুমান সাড়ে ১২ টার দিকে গুয়াখোলা গ্রামের আব্দুল হান্নান শেখের ছেলে আশারাফুল শেখ(১৯), রাসেল বেপারীর ছেলে ইয়ামিন বেপারী (১৮) খোরশেদ মোল্লার ছেলে ফাহিম মোল্লা (১৮) আরিফ মোড়লের ছেলে শাহাদাত মোড়ল(১৮) ও রতন বেপারীর ছেলে নিশাদ বেপারী (১৬) বসে জুয়া খেলছিলো। এসময় একই গ্রামের আলি আজগর শেখের ছেলে রবিউল শেখ (২৩), রফিক হাওলাদারের ছেলে জাহিদ হাওলাদার (২৩) ও আতাহার বেপারীর ছেলে সাগর বেপারী(২০) তাদের মসজিদের পিছনে বসে জুয়া খেলতে বাধা দিলে তাদের সাথে বাকবিত্ত্বন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে জুয়া খেলায় বাধাদানকারী রবিউল শেখের বাড়ীতে ঢুকে তাকে না পেয়ে তার পিতা আলী আজগর শেখের উপর দেশিয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় একই গ্রামের মৃত আবু বকর শেখের ছেলে ইসরাফিল শেখ(৩৩), মৃত আবু বকর শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (৩৫), মৃত আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে ফরহাদ শেখ (৩৪),আব্দুল হান্নান শেখের ছেলে আশারাফুল শেখ, (১৯) হয়াত বেপারীর ছেলে রাসেল বেপারী (৩৫), আসানুর শেখের ছেলে আলাম শেখ (২৪), ওছিমুদ্দিনের ছেলে সোবাহান শেখ(৪২)। এতে আলী আজগর শেখের শরিরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখমসহ মাথায় গুরুত্বর জখম হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।ভুক্তভোগীরা জানান, আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব না থাকায় আমরা নিজেরা মসজিদ ঝাড়ু দিতে মসজিদে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি মসজিদের পিছনে অনেক হইচই ও গালাগালি হচ্ছে। এসময় দেখি আশরাফুল ও তার বন্ধুরা সেখানে জুয়া খেলছে। আমরা তাদের বাধা দিলে সেখানে তাদের সাথে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়। তখন আশরাফুল আমাদের দেখে নিবে বলে সেখান থেকে চলে যায়। পরে আশরাফুলের পরিবারের লোকেরা এসে রবিউলকে না পেয়ে তার বাবাকে মাথায় কোপ দেয় ও লাঠি দিয়ে মারধর। পরে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ব্যপারে অভিযুক্তদের মুঠোফোনে না পেয়ে তাদের বাড়িতে গেলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায় নি। এ ব্যপারে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক বলেন, মারামারির একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top