মো:ফিরোজ,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আজ রবিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাস্তার দক্ষিন পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরজিত প্রার্থী আপেল মার্কার মোঃ ফখরুদ্দিন (ফকু)মল্লিক ও বিজয়ী প্রার্থী ফুটবল মার্কার মো সফিকুল ইসলামের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ(রবিবার) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে নির্বাচনী ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে তাঁতেরকাঠী চৌরাস্তার দক্ষিন পাশে ইদ্রিস হাওলাদার ও মজিবুর রহমান হাওলাদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ খবর পেয়ে উভয় গ্রæপের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে ফখরুদ্দিন গ্রæপের ফিরোজ ফকির(৪০), মিনারা(৪০),আনোয়ার(১৮),মো. সাহিদা(২৬) ও ইদ্রিস হাওলাদার(৫০) এবং সফিকুল ইসলাম গ্রæপের বাদশা মীর(৫৫) ও তার স্ত্রী রুনু(৫০), মজিবুর হাওলাদার(৪০) ও তার বোন লিপি আক্তার(২৫), লিপির মেয়ে যুথি অক্তার(১৫) গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, মজিবুরের কাছে ইদ্রিস হাওলাদার ১০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছে বলে মজিবুর আমাকে দুই দিনে আগে জানিয়েছিল। ওই চাঁদা দিতে মজিবুর অপরাগতা প্রকাশ করায় আজ (রবিবার) উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। স্থানীয় সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংশা করার জন্য আমি চেষ্টা চালাচ্ছি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।