মো:ফিরোজ,বাউফল (পটুয়াখালী):
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদের ভিতরে নার্সারির পাশের একটি পরিত্যক্ত ভবনের পরে আছে কৃষি অধিদপ্তরের প্রায় ২৫ টি বিকল ট্রাক্টর। দীর্ঘ প্রায় দশ বছর একই স্থানে রেখে দেয়ায় ট্রাক্টরগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সামান্য মেরামত করলে কিছু ট্রাক্টর সচল করা সম্ভব, তবে অধিকাংশ ট্রাক্টর মেরামত অনুপযোগী হয়ে গেছে।
এগুলো নিলামে বিক্রি করলে সরকারি কোষাগারে জমা হবে অর্থ। কিন্তু সরকারি নিয়ম এবং মেরামত খাতে বাজেট না থাকায় কিছুই করতে পারছে না উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সরকারের লক্ষ টাকার সম্পদ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পরবর্তী সময়ে অসহায় কৃষকদের কৃষি কাজে সহযোগিতার লক্ষ্যে বিনা খরচে ট্রাক্টর ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। তাই সে সময় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ট্রাক্টরগুলো ক্রয় করে এবং কৃষকদের ব্যবহারের জন্য দেয়।
নিয়মানুযায়ী কৃষি কাজ শেষে ট্রাক্টর গুলো উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে জমা দিয়ে দেয় কৃষকেরা। সেসময় অধিকাংশ ট্রাক্টর যান্ত্রিক ত্রুটিসহ জমা দেয়া হয়েছিলো। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরকে ট্রাক্টর কেনা ও কৃষকদের দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হলেও, এগুলো সংরক্ষণ ও মেরামতের জন্য কোনো বাজেট (ফান্ড) দেয়া হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে যান্ত্রিক ত্রুটি সম্পন্ন ট্রাক্টরগুলো বিকল অবস্থায় পরে থাকলেও মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করতে পারছেনা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। অন্যদিকে সরকারি সম্পদ ৩০ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় না থাকলে নিলামে বিক্রি করা সুযোগ নেই।
তাই পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থেকে ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে ট্রাক্টরগুলো। এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন বলেন, ট্রাক্টরগুলো সংরক্ষণের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সেড নেই, তাই ওই পরিত্যক্ত ভবনে ট্রাক্টর গুলো রাখা হয়েছে।
মেরামতের জন্য বাজেট পেলে ট্রাক্টরগুলো সংস্কার করে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য দেয়া হবে। ব্যবহার অনুপযোগী ট্রাক্টর গুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিঁনি বলেন, ৩০ বছরের পূর্বে সরকারি সম্পদ নিলাম করার সুযোগ নেই। বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।