মো:ফিরোজ,বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলের বগা খাদ্য গুদামের সংরক্ষিত এলাকার পরিবেশবান্ধব ৩১টি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। ওই গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রমিকরা গাছ কাটা শুরকরেছেন। ইতিমধ্যে ৩১টি গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। এসব গাছের বাজার মূল্য হচ্ছে ৫-৭ লাখ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর দিকে বাউন্ডারির ভিতরে রেইন্ট্রি,মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৩১ বড় বড় গাছের ডাল কাটা হয়েছে। আর গাছগুলো কাটার অপেক্ষায় আছে। গুদামের উত্তর দিকে খালপাড়ে গাছের মোটা মোটা ডালগুলো সাইজ করে ট্রলারে বোঝাই করছেন ৮-১০ জন শ্রমিক।
এদের মধ্যে নুরল ইসলাম নামের এক শ্রমিক জানান, বগা ইউনিয়নের দাউরাভাঙ্গা গ্রামের লিটন নামের এক ব্যক্তির কাছে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তার নির্দেশে প্রথমে গাছগুলোর ডালপালা কাটা হয়েছে। এরপর গাছ কাটা হবে। গাছগুলোর দাম ৫-৭ লাখ টাকা হবে।
বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদ হাসান বলেন, সংরক্ষিত এলাকার গাছ কাটার কোন বিধান নেই। আমার জানা মতে গাছগুলো খাদ্য গুদামের কোন ক্ষতি করছে না। গুদাম থেকে নিরাপদ দূরত্বে গাছগুলোর অবস্থান। তাই গাছগুলোর কাটার কোন যৌক্তিকতা নেই। গাছগুলো গুদামের ভিতরের এলাকার সৌন্দর্য বর্ধন করছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে খবর নিবো।
বগা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপংকর মিস্ত্রী বলেন,গাছ কাটা হচ্ছে না। গাছগুলো গুদামের ক্ষতি করে তাই ডালপালা কাটা হচ্ছে। ডালপালা কাটার জন্য সরকারি কোন বরাদ্ধ নেই। তাই ডালপালা বিক্রির টাকা দিয়ে শ্রমিকদের মজুরি দেয়া হচ্ছে।
গাছ বা ডালপালা কাটার কোন নির্দেশনা আছে কিনা? এমন প্রশ্ন করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রতি নির্দেশনা আছে বলেই তো গাছের ডালপালা কাটা হচ্ছে। লিখিত কোন নির্দেশনা দেখাতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লিয়াকত আলী বলেন, খাদ্য গুদামের ক্ষতি করে এমন গাছের ডালপালা কেটে দেয়া জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ক্ষতি করে না এমন গাছ বা গাছের ডালপালা কাটার কোন নির্দেশনা নেই। আমি বগা খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে যাব। সেখানে গিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।