অফিস ডেস্ক :
দেশের তৃণমূল সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠণ সম্মিলিত সাংবদিক পরিষদ-এসএসপি’র উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর কবি আশরাফুল ইসলাম সহ ৭ সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার ১৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১ টায় সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ-এসএসপি’র আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ-এসএসপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম সামছুল আলম নিক্সন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, আরজেএফ’র চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম, এসএসপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল উদ্দিন জুয়েল, সহ-সভাপতি শেখ মোঃ ওবাইদুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলম সুমন, সহ-সম্পাদক শাহ আলম, সাংবাদিক নেতা লুৎফর নাহার রিক্তা, রফিকুল ইসলাম জামান, শহিদুল ইসলাম, মল্লিক মেহেদী হাসান, সাইফুল্লাহ খান, আতিকুর রহমান, মহসিন হোসেন, মল্লিক মোঃ জামাল, মোঃ আল-আমিন, মাসুম বিল্লাহ সুমন, শিশির আহমেদ, জামাল হোসেন, তুরনা প্রমুখ। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ জামাল শিকদার।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুলশান থানায় মামলা করতে গেলেও আতিকুল ইসলামের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন থানার ওসি। তিনি মামলা গ্রহণ না করে উল্টো হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। পরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে মামলা গ্রহণ করলেও অদ্যাবধি আসামীদের গ্রেফতারে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে সারাদেশের তৃণমূল গণমাধ্যমকর্মীরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।
ইতিপূর্বে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঘটনার দিনই সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বিবৃতি দেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও পুলিশ প্রশাসন তা আমলে না নেওয়ায় মানবন্ধনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষসহ ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ১২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য আতিকুল ইসলাম ও তার গুরুতর অসুস্থ্য মাকে দেখতে গুলশানের নর্দ্দা এলাকায় বাসায় দেখতে গেলে সেখানেও সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের উপর অতর্কিত আক্রমন চালায়। বর্তমানে সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।