মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস প্রতিনিধি:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস-২ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব অবসরপ্রাপ্ত মো: আবদুল মতিন খানের বিরুদ্ধে কুমিল্লার তিতাস-হোমনা উপজেলার বিএনপি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আবদুল মতিন খান।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় তাহার নিজ বাড়ি তিতাস উপজেলার মাছিমপুরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১০ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে তিতাস-হোমনা উপজেলা বিএনপি ও হোমনা পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভায় আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ করে যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক এবং আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও মানহানিকর।
তিনি উক্ত অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অভিযোগে আমাকে আওয়ামী লীগের দালাল, পৃষ্ঠপোষক, চোর, দুর্নীতিবাজ, প্রতারক, হত্যাকারী, ১/১১ এর সময় বেগম খালেদা জিয়ার সাথে গাদ্দারি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে দলের নেতা-নেত্রীকে অবমাননা করেছি, চাকরি করাকালীন সময় ঘুষ, দুর্নীতি করে অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছি ও বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।
অথচ আমি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারম্যান পার্সন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস-২ হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি এবং ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে মেডাম খালেদা জিয়ার হাত দিয়ে আমি উপ-সচিব হয়েছি। উপ-সচিব হওয়ার এক মাস পরই বিএনপি বলে আমাকে আওয়ামীলীগ সরকার ওএসডি করে দেয়। ১৪ বছর ওএসডি থেকে ২০২০ সালের জুন মাসে উপ-সচিব হিসেবেই আমি অবসরপ্রাপ্ত হই। ১৪ বছর ওএসডি এযাবৎকালে ইতিহাসের দীর্ঘতম ওএসডি।এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিমনা অফিসার হিসেবে আমার বিরুদ্ধে ২টি মামালা দায়ের করেন। যা এখনো চলমান আছে।
তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের মামলা করেন। পরবর্তীতে দুুদক তদন্ত করে আমার আয় বহিঃভূত সম্পদ বা অবৈধ সম্পদ না পাওয়ায় উক্ত অভিযোগ থেকে দুুদক আমাকে অব্যাহতি দেয়। যেটি ৮/১০টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
আমি যদি আওয়ামী লীগ মনোভাবাপন্ন হতাম কিংবা দূনীতিবাজ হতাম, তাহলে প্রাক্তন মাননীয় প্রধামন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিভাবে ৫ বছর তার পুরো শাসন আমলে আমাকে এপিএস রাখলেন? আমি বিএনপি নাকি আওয়ামীলীগ বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আমার নির্বাচনী আসন কুমিল্লা-২ হোমনা-তিতাসের জনগণ জানে। সৎ ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যৎও থাকবো। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ এ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি আর কোনদিন পারবেও না ইনশাআল্লাহ।
যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে তারা আমার সাফল্যের ঈর্ষান্বিত হয়ে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে। যেনো আমি বিএনপি থেকে কুমিল্লা-২ আসনে জনগণের সেবক হয়ে না আসতে পারি। আমি কুমিল্লা-২(হোমনা-তিতাস) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাইব। যদি মনোনয়ন পাই আমি ইলেকশন করব আর যদি না পাই করব না। তবে যিনি নমিনেশন পাবেন তার পক্ষে কাজ করব ইনশাল্লাহ। নেতার ভাষায় “প্রথম বাংলাদেশ আমার, শেষ বাংলাদেশ”, আমার ভাষায় “প্রথম বিএনপি আমার শেষ বিপএনপি আমার জীবনে”।