মো:শাহেদ খাঁন(সন্দ্বীপ)চট্টগ্রাম:
সন্দ্বীপে নিবন্ধনবিহীন মোটর সাইকেল আটক অভিযান শুরু করেছে সন্দ্বীপ থানা। গত ২৫ মার্চ, ২০২৩ ইং তারিখ থেকে চট্টগ্রামের মোটর সাইকেল চোর দলের কয়েকজন সদস্যের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্রগ্রাম থেকে চুরি হওয়া মোটর সাইকেল, সন্দ্বীপে বিক্রি করা ৬টি মোটর সাইকেলসহ কাগজপএ বিহীন ২৪টি মোটর সাইকেল আটক করে চট্রগ্রাম ট্র্যাফিক ও ডিবি পুলিশ।
চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে উপযুক্ত প্রশস্থ রাস্তার অভাব ও গণপরিবহনের অপর্যাপ্ততার কারণে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল প্রধান যানবাহনে পরিণত হয়েছে। ধারণা করা হয়, সন্দ্বীপে ব্যাক্তিগত মোটর সাইলকেলের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার। এইগুলোর বেশীর ভাগেরই কোন নিবন্ধণ ও প্রয়োজনীয় কাগজ পএ নেই এবং চালকদের নেই কোন লাইসেন্স।
সূত্রে জানা যায়,বিগত ২০ বছর ধরে সন্দ্বীপ থানা প্রশাসনকে মাসোয়ারা দিয়ে ভারত থেকে কর ফাঁকি দিয়ে সীমানা অতিক্রম করে আসা অবৈধ মোটরসাইকেল বিক্রয়ের মুক্ত বাজারে পরিণত হয়েছে সন্দ্বীপ।
সন্দ্বীপে বিআরটিএ’র কোন বিভাগ চালু নেই বিধায় ইচ্ছে থাকলেও অনেকের পক্ষে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু গত ২৫ মার্চ থেকে হঠাৎ করে কাগজপএ বিহীন কোন মোটর সাইকেল রাস্তায় চলবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে সন্দ্বীপ থানা। ফলে মানুষের মধ্যে মানুষের মধ্যে আতংক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উদ্ধতন কতৃপক্ষ ও ট্র্যাফিক পুলিশের সরাসরি নির্দেশে এই অভিযান পরিচালনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সহিদুল ইসলাম । গত ২৯ শে মার্চ চট্টগ্রাম ট্র্যাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মহসিনের নেতৃত্বে ট্র্যাফিক পুলিশের একটি দল অভিযান পরিদর্শনে আসেন সন্দ্বীপে। এসে আটককৃত মোটর সাইকেল গুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলে জানিয়েছেন।
ট্র্যাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মহসিনকে, সন্দ্বীপ থানার অধীনে স্থায়ীভাবে একটি ট্র্যাফিক পুলিশ বুথ পরিচালনার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, আপাতত এই ধরণের কোন পরিকল্পণা নেই কতৃপক্ষের। তবে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সরেজমিনে সন্দ্বীপ থানায় গিয়ে দেখা যায় সন্দ্বীপ থানার সীমানা দেয়ালের ভিতর প্রায় ১০০ টির ও অধিক মোটর সাইকেল আটক রয়েছে।
ভুক্তভোগী মোটরসাইকেল মালিকদের অনেকে অভিযোগ করেন, মোটর সাইকেল আটক অভিযানের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হচ্ছে। এই ব্যাপারে সন্দ্বীপ থানাকে জিজ্ঞেস করলে অভিযোগের সত্যতা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ঠরা।
মোটর সাইকেল আটকে ক্ষুব্ধ জনগণ বলেন, বিভিন্ন সময় থানার সহযোগিতায় এই অবৈধ মোটর সাইকেল গুলো সন্দ্বীপে এসেছে। আইনের প্রয়োগ না থাকায় আবাদে কাগজপএ বিহীন মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। ফলে আমরা নিরীহ মানুষ এখন চরম ভোগান্তি ও ক্ষতির সম্মুখীন।
তাদের দাবী, সন্দ্বীপে স্থায়ীভাবে ট্র্যাফিক ও বিআরটিএ বিভাগ স্থাপন না করে আইন প্রয়োগের নামে এই ধরণের অভিযান জনজীবনকে মারাত্মক বিপর্যস্ত করে তুলবে। এই ব্যপারে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করে সন্দ্বীপের সাধারণ জনগন।