স্টাফ রিপোর্টার:-
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা
ও সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ সহ ২৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গতকাল রোজ বুধবার (২১ আগস্ট) বান্দরবান সদর থানায় মো: শামীম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্যান্য অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হক বাহাদুর, অমল কান্তি দাশ, সৌভর দাশ শেখর, চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া,ফারুক আহম্মেদ ফাহিম, উমর ফারুক, হাকিম, আবু তৈয়ব চৌধুরী, মোহাম্মদ আরিফ, মো:তারেকুল ইসলাম, কাঞ্চন তংঞ্চঙ্গ্যা, রাশেদ চৌধুরী, অজিত কান্তি দাশ, মো. মহিউদ্দিন, আকাশ চৌধুরী, সাদ্দাম হোসেন, কাউন্সিলর উমর ফারুক, রফিকুল ইসলাম, আলমগীর ড্রাইভার, নুর মোহাম্মদ কালু, মোহাম্মদ নুরু, মো:হানিফ, আক্কাস আলী, আবু তাহের ওরফে মুরগী তাহের, মো: ইসমাইলসহ অজ্ঞাতনামা ১-১৫০ জন
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়। অভিযুক্ত আসামিদের প্রত্যেকে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে এবং ককটেল হাতে নিয়ে ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতাকে হামলার চেষ্টা করে।
সে সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিশৃঙ্খলা না করতে অনুরোধ করেন। তবে তারা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্র জনতাকে ছত্র ভঙ্গ করার জন্য ক্যশৈহ্লা, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, অমল কান্তি দাশ, সৌভর দাশ শেখর, চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়াদের নির্দেশে প্রত্যেকে তাদের হাতে থাকা একটি করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থলে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে । এক পর্যায়ে তারা মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ছাত্র জনতার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন বলে জানান।
অভিযুক্ত আসামি সৌরভ দাশ শেখর ও চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিম মোঃমনির উদ্দিনকে আঘাত করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল করিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ২৮ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা সেটি আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।