রায়হান খন্দকার:-
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের একাংশের ভোট অতপর সমঝোতার ভিত্তিতে সভাপতি ও সাত সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার রেশ না কাটতেই ভোট কারচুপির অভিযোগ তুললেন তিন প্রার্থী(বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মোস্তফা আল মাহমুদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রস্তুতকারক সমিতির প্রতিনিধি মো. মাহবুব হাফিজ ও বাংলাদেশ মিষ্টি উৎপাদক সমিতির প্রতিনিধি মো:মারুফ আহমেদ।) সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের এই তিন প্রার্থী গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন আপিল বোর্ডের কাছে পুনরায় ভোট গণনার জন্য আপিল করেছেন। এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার(৪/৮/২০২৩) পর্যন্ত ভোটের ফলাফল নিয়ে আপিলের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে আপিল বোর্ড সোমবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে। তারপর নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হবে মঙ্গলবার।
বিগত ৩১ জুলাই রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআইয়ের ২০২৩-২৫ মেয়াদের পর্ষদের একাংশ পরিচালক পদে ভোট হয়। ভোট গণনা শেষে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ২৩ পদের মধ্যে ১৫টিতে জয়ী হয় সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্রার্থীরা। অন্যদিকে প্রভাবশালী প্যানেল হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৮টি পদে।
ভোট পুনর্গণনায় আপিল করা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি মো. মোস্তফা আল মাহমুদের ৮০৫ ভোট প্রাপ্ত হন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৪৯ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর অবস্থান ২৪তম। মোস্তফা আল মাহমুদের চেয়ে মাত্র ৮ ভোট বেশি পেয়ে ২৩তম পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছেন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী হারুনুর রশীদ। অন্যদিকে ভোট পুনর্গণনার আপিল করা অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে মো: মাহবুব হাফিজের প্রাপ্ত ভোট ৭৯৯ ও মো:মারুফ আহমেদের ভোট ৭৭৫। তাঁরা যথাক্রমে ২৫ ও ২৬তম বিজয়ী হয়েছেন।
আপিল আবেদনে পরিচালক পদপ্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ ১৬তম বিজয়ী শমী কায়সার, ২৩তম বিজয়ী হারুনুর রশীদ ও ২৪তম বিজয়ী (আপিল আবেদনকারী) প্রার্থীর ভোট পুনর্গণনার দাবি করেন।
ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করা অপর দুই প্রার্থী মো: মাহবুব হাফিজ ও মো:মারুফ আহমেদের আবেদনের অভিযোগ প্রায় একই রকম। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, গভীর রাতে ভোট গণনার সময় সুকৌশলে কয়েকটি টেবিলে তাঁদের নামে ভোটের জায়গায় অন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নজরে এলেও মৌখিক প্রতিবাদ কেউ গ্রাহ্য করেননি, বরং তাড়াহুড়া করে গণনা শেষ করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।