মোঃ রানা, পটুয়াখালী :
কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। আলীপুর শেখ রাসেল সেতুর টোলপ্লাজা থেকে পাখিমারা বাজার পর্যন্ত সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
এদিকে এই ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অনুমোদন দেয়া হলেও সংস্কার করতে গিয়ে মামলাসহ নানা বিপত্তিতে পড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটার পরিচিতি এখন বিশ্বব্যাপী। পর্যটন শিল্পে এর গুরুত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের।
প্রতিদিন এই সড়কপথে দেশি-বিদেশি হাজারও পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে কুয়াকাটায় আসেন। পর্যটকসহ স্থানীয়দের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব (বিশেষ করে শীত মৌসুম আসার আগেই) সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , কুয়াকাটা-কলাপাড়া মহাসড়কের ২২ কিলোমিটারের মধ্যে পাখিমারা বাজার থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দের কারণে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের সংস্কারকাজ অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। যেকোনো সময় টেন্ডার হবে কাজের। বাকি অংশটুকুও যতটা সম্ভব দ্রুত অনুমোদন দেয়া হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, কুয়াকাটা-কলাপাড়া সড়কের পাখিমারা বাজার থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায় দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। হাইকোর্টের একটি রিটের কারণে এতদিন সংস্কার কাজে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এখন সেই অংশের সংস্কারের জন্যও টেন্ডার দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে এ সড়কের ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। বারবার সংস্কার করা হলেও সড়কটির বেহাল দশার কোনো পরিবর্তন হয়নি। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ছয় কিলোমিটার রাস্তা কিছুটা ভালো। বাকি ১৬ কিলোমিটার রাস্তাই খানাখন্দে ভরা।
এ পথে চলাচলকারী মায়ের দোয়া গাড়ির চালক হিমেল বলেন, পাখিমারা বাজার থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আলীপুর থ্রি পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারেই নাজেহাল। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে আমাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ফরিদ বলেন, কুয়াকাটা এখন খুব সহজে আসা যায়। কিন্তু বর্তমানে সড়কটি অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। এখনো পিঠ ব্যথা করছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে আবেদন।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ জানান, সড়কটির ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অপসারিত হওয়ায় শিগগির সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে।
#