মতিউর রহমান তালুকদার পটুয়াখালী জেলা দক্ষিন প্রতিনিধি ::-
৪১০ দশমিক ৭৮ একর জমির ওপর পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামে হচ্ছে ইপিজেড। ৩০৬ শিল্প প্লট নিয়ে ১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা খরচে ‘পটুয়াখালী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা’ বা ইপিজেড স্থাপিত হচ্ছে। গত সপ্তাহে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ায় এটি বাস্তবায়নে আর কোনো জটিলতা থাকলো না।৪১০ দশমিক ৭৮ একর জমির ওপর পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামে হচ্ছে এই ইপিজেড। এ ছাড়াও, একই প্রকল্পের আওতায় কুয়াকাটায় ২ দশমিক ২৫ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে ইনভেস্টরস ক্লাব। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী জেলা পটুয়াখালীতে এবার রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলো সরকার। এ ছাড়াও, একই প্রকল্পের আওতায় কুয়াকাটায় ২ দশমিক ২৫ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে ইনভেস্টরস ক্লাব।
প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণের পাশাপাশি ৪টি ৬ তলা কারখানা ভবন, ৩টি ১০ তলা, ৪টি ৬ তলা আবাসিক ভবন, একটি ৬ তলা ও ২টি ৪ তলা অফিস ভবন এবং ২টি অন্যান্য ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়াও, বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১৪টি ১১/০.৪১৫ কেভি সাবস্টেশন, ১৫ কিলোমিটার ১১ কেভি এইচটি লাইন ও একটি ৩৩/১১ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন নির্মাণ ও একটি হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হবে বলে প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল কবির প্রতিবেদককে জানান। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে গৃহীত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। এর খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে বেপজার নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা, বাকি ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকার জোগান দেওয়া হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এখানে প্রায় ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং ওই এলাকার লোকজনদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে বলেও আশা করেন এই কর্মকর্তা। গত ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইপিজেড স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ আহরণ, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার উদ্দেশ্যে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ২০২১ সালের ৮ আগস্ট ‘পটুয়াখালী ইপিজেড’ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) অনুকূলে জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ইপিজেডের জন্য এখানে জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন বেপজা থেকে বরাদ্দ পেলেই জমির মালিকানার অর্থ হস্তান্তর করা হবে।’
বর্তমানে, বাংলাদেশে ৮টি ইপিজেড আছে। এগুলো হচ্ছে—চট্টগ্রাম ইপিজেড, ঢাকা ইপিজেড, মোংলা ইপিজেড, ঈশ্বরদী ইপিজেড, কুমিল্লা ইপিজেড, উত্তরা ইপিজেড, আদমজী ইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেড।
ইপিজেড স্থাপন এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান হতে যাচ্ছে এটা আমাদের জন্য খুবই খুশির খবর। এর মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। দেশের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে এটা আমাদের জন্য গর্বের।’