মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন তথ্য গোপনের অভিযোগে তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।তবে তারা আপিলের সুযোগ পাবেন।
মনোনয়ন অবৈধ হওয়া দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন আরিফুল ইসলাম হাওলাদার ও রাহাত খান রুবেল এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে অবৈধ হওয়া দুই প্রার্থী হলেন রেজাউল রহমান ডিউক ও নূর মোহাম্মদ শেখ।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসলাম হোসাইন বলেন, তথ্য গোপন করায় যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুল ইসলাম হালদার ও রাহাত খান রুবেল এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল রহমান ডিউক ও নুর মোহাম্মদ শেখ।
এ বছর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী মনোয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আবদুল ওয়াহিদ, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতুর ছেলে সদ্য দিঘিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগ করা আরিফুল ইসলাম হালদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র গোলাম রাব্বানী শান্ত, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাহাত খান রুবেল, মাহবুর রহমান এবং কামারখাড়া ইউপির সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান দপ্তরী।
এদের মধ্যে দুই জনের আরিফুল ইসলাম হালদার ও রাহাত খান রুবেলের মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে টঙ্গীবাড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান ডিউক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ শেখ। এদের মধ্যে রেজাউর রহমান ডিউক ও নূর মোহাম্মদ শেখের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা হতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাখিলকৃত ৪প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এরা হলেন- বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এমিলি পারভীন, তার কন্যা ফারজানা হোসেন লিজা ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আকলিমা আক্তার।
দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং উপজেলায় সকল প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। যাচাই- বাছাইয়ে বাদ পরা প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। আর আপিল নিস্পত্তি হবে ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল।
প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২১ মে।