বামনা উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ২৬ টন চাল উধাও

received_804889024991454.jpeg

বামনা(বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার বামনা উপজেলার খাদ্যগুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুজ্জামান তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বিভিন্ন সময় বস্তা পরিবর্তন করে বামনা খাদ্য গুদামের এক নম্বর গুদাম থেকে ৬৭ মেট্রিক টনের একটি খামালের সমুদয় চাল বস্তা চেঞ্জ করে কালোবাজারিতে বিক্রি করে দেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বরগুনার বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল ইমরান, সহকারী কমিশনার (ভূমী) মোঃ তারেক হাসান বামনা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে খাদ্য গুদামের ০১ নম্বর গুদামের চালের বস্তা গননা করে ২৫ টন ৯৩৭ কেজি চাল কম পান। এ সময় বরগুনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া এবং বামনা উপজেলা জনসাস্থ্য প্রকৌশলী দীপক কুমার উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনের সময় বস্তা গণনা করে দেখেন ০১ নম্বর গুদামের আমন সংগ্রহের খামালে ৫০ কেজির ২৪০ বস্তা, ৩০ কেজির ২১৬৯ বস্তায় ৭৭ মে.টন চাল পাওয়া গেছে। অন্য তিনটি খামালে ৮৪ টন ৫৪৮ কেজি, ৬৭ টন এবং ৪ টন ৯২৯ কেজি সহ মোট ১৫৬ টন ৪৭৭ কেজি চাল থাকার কথা। সেখানে তিনটি খামালের স্থানে ২টি খামালের একটি খামালে ৩০ কেজির ১৩৫৭ বস্তায় ৪০ টন ৭১০ কেজি, অপর খামালে ৩০ কেজির ২৯৯২ বস্তায় ৮৯ টন ৭৬০ কেজি চাল পাওয়া যায়। দুটি খামালে মোট ১৩০ টন ৪৭০ কেজি চাল পাওয়া যায়। সেখানে ১৫৬ টন ৪৭৭ কেজি চালের স্থানে ১৩০ টন ৪৭০ কেজি চাল গোডাউনে রক্ষিত আছে। ফলে দেখা যায় ২৬ টন চাল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার কালোবাজারিতে বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়াও ২ নম্বর গুদামে ৬টি খামালে ৬৩৪ টন ৪১২ কেজি চাল থাকার কথা থাকলেও সেখানে ৮ মে.টন চাল কম আছে। অপর দিকে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার ভিজিডি, ভিজিএফ, খাদ্য বান্ধব এবং ওএমএসের চাল বিতরণের সময় ৩০ কেজির বস্তায় ২৯ কেজি করে বিতরণ করতেন। অধিকাংশ সময় বস্তায় পানি দিয়ে চাল ভিজিয়ে ওজন বাড়িয়ে বিতরণ করতেন। জানুয়ারি মাসের টিসিবির বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের চাল বিতরণের সময় অধিকাংশ চালের বস্তা ই ভেজা ছিলো। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ তারেক হাসান জানান, যে আমি এক নম্বর গুদামে ৩০ কেজির ৬৫১৮ টি বস্তায় ১৯৫ টন ৫৪০ কেজি এবং ৫০ কেজির ২৪০ বস্তায় ১২ টন চাল পেয়েছি। সর্বমোট এক নম্বর গুদামে ২০৭ টন ৫৪০ কেজি চাল পেয়েছি। অফিসের রেজিস্টার এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখে হিসাব করে জানাতে পারবো যে কত টন চালের ঘাটতি আছে। বরগুনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, ইতিমধ্যে ১২ টন চাল আমরা উদ্ধার করেছি বাকি ১৬ টন চাল খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ২৪ তারিখ (শনিবার) এর মধ্যে গুদামে এনে মজুদ করবেন। এ বিষয়ে বামনা উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ আনিসুজ্জামান তালুকদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কিছুটা সমস্যা ছিল সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top