লক্ষ্মীপুরের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার

received_756601043091920.jpeg

মো:রাসেল,স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাটের চরজাঙ্গালীয়া এলাকার সয়াবিন খেত থেকে আবুল কাশেম (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২১ বুধবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আবুল কাশেমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ঘটনাস্থলটি ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির পাশের সয়াবিন থেত ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। কাশেম কমলনগর উপজেলার চরকাদিরার আবু সায়েদের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিল।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, প্রায় তিন মাস আগে আবুল কাশেম হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া এলাকার আলি আক্কাসের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করেন। তাসলিমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বুধবার সকালে কাশেমের মরদেহ সয়াবিন খেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

কাশেমের বাবা আবু সায়েদ জানান, মঙ্গলবার তার ছেলে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর পান তিনি। তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সয়াবিন খেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সেটা তদন্ত করে বের করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘কাশেম মঙ্গলবার বিকেলে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি ফসলি খেতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।’

কমলনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, ‘আবুল কাশেমের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।’

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top