মুন্সীগঞ্জে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেফতার ও ৭ লাখ টাকা উদ্ধার

Messenger_creation_2952480298234542.jpeg

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:-

মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-দোহার সড়কে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, নবাবগঞ্জ থানার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ হালদার গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় স্বর্ণ বিক্রি শেষে স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৪৭ লাখ টাকা ও অবিক্রিত ৩ ভরি স্বর্ণসহ ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জ থানার বান্দুরা বাজারের উদ্দেশ্যে আসছিলেন। বিকেল ৪ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ঢাকা-দোহার মহাসড়কের মরিচা কাউন্টার এলাকায় পৌছাঁলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে নগদ ৪৭ লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ হাবিবুর রহমান নামের একজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে ঘটনার দিন সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ হালদার। যার মামলা নং-২৩, তারিখ-২৩/১০/২০২৪। মামলার পর থেকে পুলিশ অভিযানে নামে। রবিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার, লুন্ঠিত নগদ ৭ লাখ টাকা ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- কেরানীগঞ্জের পূর্ব চরাইল এলাকার মৃত ইমরান হোসেনের ছেলে রনি (৪৮), ওয়ারী থানার নবাবুর এলাকার মৃত ইবরাবুল হাসানের ছেলে সিরাজুল হাসান জাবেদ ওরফে রানা (৪২), কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উত্তর পাড়া এলাকার মৃত বাবুর ছেলে শামিম (৪২), সূত্রাপুর থানার নাসিরউদ্দিন সরদার লেন এলাকার মৃত মজিবরের ছেলে সায়মন (৩২), টাঙ্গাইলের তেবাড়ীয়া সলিমাবাদ এলাকার ময়নালের ছেলে মমিন (৪২), মাদারীপুরের পাঁচখোলা এলাকার মোঃ মোতাহারের ছেলে সুজন (৩০), কোতয়ালী থানার চরমাদুপদা এলাকার মৃত আলীউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সমির হোসেন (৪২)।

পুলিশ জানায় গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্য রনির বিরুদ্ধে ৩টি, সিরাজুল হাসান জাবেদ ওরফে রানার বিরুদ্ধে ৭টি, সায়মনের বিরুদ্ধে ৪ টি ও সুজনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতাকৃত ডাকাতরা আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং বিভিন্ন সময় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top