মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর কব্জি কাটার ঘটনায় মানববন্ধন।

received_923059969338894.jpeg

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সাব্বির(১৬)এর চানচল্যকর কব্জি কাটার ঘটনার মানববন্ধন করে সাব্বিরের সহপাঠী হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালের শিক্ষার্থী,সাব্বিরের স্বজনরা।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গজারিয়ায় হোসেন্দি ইউনিয়নের লস্কদী গ্রামে ঘর তৈরি করে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী সোহান,সেলিম,শহিদ,আঃমালেক,
জুবায়ের,আব্দুল রসিদ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাব্বিরের বাড়িতে ঢুকে ঘরের খাম সহ মালামাল ভাংচুর করতে শুরু করে পরে সাব্বিরের মা এ গিয়ে আসলে তার পরনের পোশাক টেনে ছিড়ে ফেলে ওরা।তখন সাব্বির তার মাকে বাঁচাতে গেলে সোহান সাব্বির কে কোপ দিলে হাত দিয়ে আটকাতে গেলে সাব্বিরের হাতের বৃদ্ধা- আঙুল সহ হাতের কব্জি হতে এক-তৃতীয়াংশ পরে যায়।পরে সাব্বিরের বড় ভাই সায়দার এগিয়ে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি কোপায় অভিযুক্তরা।

এ ঘটনায় সোমবার বেলা দুপুর ১২টায় হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান ফটকে এ ব-র-ব-তার কয় সন্ত্রাসী হামলার বিচারের ধাবিতে তার সহপাঠীও স্কুলের শিক্ষার্থী এবং সাব্বিরের স্বজনরা মানববন্ধন করেছে।

এ সবাই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যাণার ফেন্টন নিয়ে মানবন্ধন করে।এ সময় সাব্বিরের মা তার ছেড়ের হাত ফিরিয়ে দেবার জন্য আকুতি করেন।চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।তিনি অশ্রুশিক্ত জলে দুই চোখ ভিজিয়ে কান্না করতে করতে অজ্ঞান হয়ে ডলে পরে।প্রত্যক্ষদর্শী শিপা আক্তার বললেন আমার চোখের সামনে আমার ভাইদের ওরা নিমিষেই মধ্যে এসে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে মাটিতে ফেলে দেয়।আমরা গরীব বলে আইন প্রশাসন থেকেও কোনো সুবিধা পাচ্ছিনা,একজন আসামিকে আটক করলে ও অজানা প্রভাবে পুলিশ নিজের মতো করে মামলা সাজিয়ে জামিন পেতে সহায়তা করেছে।তা নাহলে এমন ঘটনার আসামি ছাড়া পায় কি করে।আমরা এখনও জানিনা ঐ আসামি সত্যিই জামিনে এসেছে নাকি থানা পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে।

এ সময় একাধিক সাব্বিরের সহপাঠীরা বলেন,আমরা শিক্ষার্থীরা কোথাও নিরাপদ নেই,আমরা গত ৫ জুলাই ছাত্র বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন দেশ স্বাধীন করেছি।এখনও আমরা মুখোশধারী আওয়ামী লীগের পেস্তা তাদের নিকট নির্যাতন,তারা যে দল ক্ষমতায় আসে সে দলের নেতা কর্মী হয়ে যায়।আমাদের সহপাঠী সাব্বিরে কি দোষ ছিলো,তা মায়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা কারে মাকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজের হাতের বৃদ্ধাঙ্গুর সহ কব্জি থেকে একতৃতীয়াংশ হারায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সোহানের কোপে।আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জরিত সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশ প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা এ থেকে আরো বড় কর্মসূচি দিবো ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা বিভিন্ন ফেস্টুনে লিখা ইউ ওয়েন্ট জাস্টিস,সেইভ আওয়ার স্টুডেন্ট,
সাব্বিরের হত্যার চেষ্টা কারিদের বিচার চাই,সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত সকলকে গ্রেফতার ও বিচার চাই।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top