মোঃ পারভেজ হোসেন : বন্দরে গণধর্ষণের আসামীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, এলাকাবাসীর মহাসড়ক অবরোধ। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গনধর্ষণ মামলার এক আসামিকে বাদী পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বুধবার সকালে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। নিহত ধর্ষক বাস চালক রকি (২০) বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে। নিহতের ঘটনায় শহিদুল ইসলাম (২৯) ও সাইফুল ইসলাম(১৭) নামের ধর্ষিতার দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
রকি হত্যাকারিদের বিচারের দাবিতে বুধবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকা অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী । এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে রকি ও তার চাচাতো ভাই শুক্কুর আলীর ছেলে আলমগীর মিলে গত শুক্রবার শবেবরাতের রাতে একই এলাকার এক গার্মেন্টস শ্রমিককে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনায় রকি ও আলমগীরকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে ধর্ষিতা গার্মেন্টকর্মী।
এ ঘটনায় আসামি রকি ও আলমগীর পালিয়ে গেলে তাদের অবস্থানের খবর পেয়ে বাদীর পরিবারের লোকজন গত মঙ্গলবার বিকালে চিটাংরোড থেকে দুই আসামিকে ধরে এনে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এসময় পুলিশ রকিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হত্যার বিচারের দাবীতে দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় অবরোধ করে এলাকাবাসী। পরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ঘটনাস্থালে গিয়ে রকি হত্যাকারিদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেয়।