ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেঘনা, তিতাস, বলভদ্র নদীতে শনিবার গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিতাস নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট এলাকা, মেঘনা নদীর সরাইলের আজবপুর ও বলভদ্র নদীর নাসিরনগরের ফান্দাউক এলাকায় গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার ভক্তের ঢল নামে। এ উপলক্ষে মেলাও বসে।
প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এ গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তপুন্যার্থী গোকর্নঘাট তিতাস নদের তীরে এসে সমবেত হয়। এ ছাড়া মেঘনা ও বলভদ্র নদীতে ভক্তরা স্নান করেন। নদীর পবিত্র জলে এই স্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পরিবারের মঙ্গল কামনার পাশপাশি দেশ জাতির জন্যে বিশেষ প্রার্থণা করেছেন।
গঙ্গাস্নানে অংশগ্রহণ শেষে আন্তজার্তিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) জেলা শাখার সভাপতি প্রবীর দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই গঙ্গাস্নানের মধ্যদিয়ে জড়দেহের পাপ মোচন হয়। যেখানে ভক্তি সহকারে ভক্তরা সমবেত হন সেখানে ভগবান বিরাজমান থাকেন। ’
স্নানে আসা সিমারানী দাস বলেন, ‘গঙ্গাস্নানের মধ্যদিয়ে আমি নিজের এবং পরিবারের জন্য মঙ্গল কামনা করেছি। প্রার্থণায় দেশ ও জাতির কল্যান কামনায় শান্তি কামনা করেছি। মহামারি করোনা যেন চিরতরে চলে যায় সেই প্রার্থণা করেছি। ’
আরেক পুণ্যার্থী দীপা সাহা বলেন, ‘তিতাস নদীর পবিত্র জলে স্নানের মধ্য দিয়ে ভগবানের কাছে পাপ মুক্তির জন্যে প্রার্থণা করেছি। তিনি সকলের যেন মঙ্গল করেন সেই প্রার্থনাও করেছি। ভগবান নিশ্চয় আমাদের সে প্রার্থনা শুনবেন। ’
এদিকে গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেঁষে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগরদোলা, হরেক রকম বাহারি খাবার- মুড়ি, চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসা ছাড়াও মাটির তৈরি বাহারী খেলনার দোকান বসে। বিক্রিও বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।