সুমন কান্তি দাশ, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় শালিসী বৈঠকের কথা বলে ডেকে নিয়ে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। এতে হাত, পা ও মাথায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয এক ব্যবসায়ীকে। আহত ব্যাবসায়ীর নাম নুরুল হুদা(৬৩)। দুষ্কৃতকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহতের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে একটি পা। রোববার (১১জুলাই) দুপুরে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুতুবনগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত নুরুল হুদাকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। আহতের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন আহতের শ্যালক আবদুল হামিদ।
এদিকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় আবদুর রহমানের পুত্র দুস্ত মোহাম্মদকে আটক করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী। তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত নূরুল হুদা সওদাগরের মেঝ ছেলে জসিম উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, তিন/চার মাস পূর্বে দুস্ত মোহাম্মদের ছোটভাই সরওয়ার ও জসিমের বড় ভাই রহিমের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটু ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল। ওই ঘটনার রেশ ধরে বিভিন্ন সময় সরওয়ার, নুর মোহাম্মদ বদ ও রুহুল আমিন বিদেশ থেকে তাদেরকে দেখে নেবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ জুলাই জোহরের নামাজের পরে শালিসী বৈঠকের কথা বলে কৌশলে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসী দুস্ত মোহাম্মদ ও তার পরিবারের লোকজন।
এঘটনায় নুর মোহাম্মদ বদ’র স্ত্রী রিপু(৩৮) রুহুল আমিনের স্ত্রী শাহানা(৩৫) ও সরওয়ারের স্ত্রী কলি(২৮) জড়িত বলেও জানান।
এঘটনায় রাতেই আহত নূরুল হুদার পুত্র জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে আবদুর রহমানের ছেলে দোস্ত মোহাম্মদ সহ অজ্ঞাতনামা দুই/তিন জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী যুগান্তরকে বলেন, বদরখালীতে ব্যাবসায়ীর উপর হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরুল হুদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং হামলায় জড়িত দোস্ত মোহাম্মদ(৪২)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে।##