মো:ফিরোজ,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের উপস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারনার একটি উঠান বৈঠকে গত ২৩ জুলাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা,পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক ওরফে রাসেল বলেছিলেন ‘ভোট হবে ইভিএমে, কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’ এমন বিতর্কিত বক্তব্যের কারনে ‘স্যরি’ বললেন সেই জেলা আওয়ামী লীগের নেতা জোবায়দুল হক রাসেল। আজ বুধবার (৩ আগষ্ট) বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন এর কাছে তিনি ‘স্যরি’ বলেন। এসময় জেলা নির্বাচন কর্মকতা খান আবি শাহনুর খান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাসহ নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুক ও চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মহাসিন, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারফ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা মার্কার প্রার্থীর একটি নির্বাচনি সভায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা ইভএিম নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিপাকে ফেলে দেন। তার এ বক্তব্য সোস্যাল মিডিয়ায়সহ একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। এরপর গত ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করেন।
বেলা ১১টায় বাউফল উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে তদন্ত শুরু হয় এবং তা চলে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তাকে ওই আ’লীগ নেতার লিখিত বক্তব্য দেন।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্তের জন্য নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নে যান।
বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে দাখিল করবো। নির্বাচন কমিশন পরবতী সিদ্ধান্ত নিবেন।