তিতাসে সিয়াম হত্যায় হামলা ও গ্রেফতার ভয়ে পরীক্ষা দেয়নি ৪ দাখিল পরীক্ষার্থী

received_1261164431387023.jpeg

মোঃ জুয়েল রানা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার তিতাসে দাখিল পরীক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে কলেজ শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় হামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে শনিবার ইংরেজি প্রথম বিষয় পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৪ দাখিল পরীক্ষার্থী।

তারা হলেন, কলেজ শিক্ষার্থী সিয়াম হত্যার মুলহোতা ব্রাহ্মণচর আলীম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী নাজমুল হাসানের প্রেমিকা রুমি আক্তার এবং আবু বক্কর, আবির হোসেন ও শাহাদাৎ হোসেন।

এবিষয়ে তিতাস উপজেলা আজিজিয়া সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা সুপার ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা আবদুর রব বলেন, মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর নয়াগাঁও আলীম মাদ্রাসা থেকে ১১ জন ছেলে এবং ১৪ জন মেয়ে মোট ২৫ জন শিক্ষার্থী আমার কেন্দ্রে দাখিল দিচ্ছেন। আজ ইংরেজি প্রথম বিষয়ের পরীক্ষায় ১১ জন ছেলে এবং একজন মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

অন্যদিকে যাকে গিরে কলেজ শিক্ষার্থী সিয়াম হত্যার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে দাখিল পরীক্ষার্থী রুমি আক্তারের বাড়িতে শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রুমি আক্তারের ঘর তালাবদ্ধ।

আবু বক্করের পিতা তাজুল ইসলাম বলেন হামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে আমার ছেলে পরীক্ষা দিতে যায়নি।

ব্রাহ্মণচর নয়াগাঁও আলীম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো.শাজাহান বলেন, আমি সকল পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেন গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা পলাতক রয়েছে, তাই ইংরেজি পরীক্ষায় অংশ নিবেনা বলে আমাকে জানিয়েছে।

মামলার বাদী হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, আমি বা আমার আত্মীয় স্বজন কেউ কাউকে হুমকি দেয়নি। এছাড়াও আমি কাউকে চিনিনা তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসামী হয়েছে। তবে আমার ছেলে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন কোনো পরীক্ষার্থী আমাদের সহযোগিতা চায়নি এছাড়াও আমরা কোনো নিরঅপরাধ শিক্ষার্থীকে হয়রানি করছিনা।

উল্লেখ্য, দাখিল পরীক্ষার্থী নাজমুল ও রুমি আক্তারের প্রেমে বাধা দেয়ায় গত ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় কলেজ শিক্ষার্থী সিয়াম।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top