মোঃ জহিরুল ইসলাম (পাশা):
বিজয়ের মাসে ৭১ এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ২০২২ইং কুমিল্লা জেলা পরিষদের আয়োজনে ১৩ ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় কুমিল্লা জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলুর সভাপতিত্বে কোরআন তিলায়াত,পবিত্র গীতা পাঠ,জাতীয় সংগীত এবং সকল শহীদের স্বরনে একমিনিট নিরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় উৎসব সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম শিকারপুরী,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত,কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম,কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক জামাল নাসের,কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল আলম বাবুল।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উক্ত অনুষ্ঠানে কুমিলা জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরন করে নেন এবং আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা স্বারক ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
নিজাম উদ্দিন রাব্বি এবং রুবেল কুদ্দুস এর যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত বিজয় উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন,
বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে সহযোগীতায় ছিলেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী এস এম হেদায়েত,জেলা পরিষদ সদস্য নাছিম ইউসুফ রেইন,মোঃ দেলোয়ার হোসেন পলাশ, সৃজনশীল সংগঠক নিজাম উদ্দীন রাব্বি এবং রুবেল কুদ্দুস।
উল্লেখ্য উক্ত অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন পলাশের পরামর্শে উক্ত বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে হোমনা তিতাসের ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়। এসময় কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু বলেন এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান বিজয়ের মাসে কুমিল্লা জেলা পরিষদের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানআমার দায়িত্ব গ্রহন এর পর প্রথম ক্ষুদ্র প্রয়াস।স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দলমত নির্বিশেষে রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের সকল যোদ্ধাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি যে জাতি তার বীরদের সম্মান করে, সে জাতি আরো কীর্তিমান সন্তানদের জম্ম দেয়। বিজয়ের মাসে শতাধিক মুক্তি যোদ্ধাদের সম্মাননা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। আপনাদের নিয়ে এই আয়োজন করতে পেরে নিজকে ধন্য মনে করছি। আগামী প্রজন্মের মাঝে আপনাদের কীর্তি ও মূল্যায়ন এ আয়োজন,ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে এবং জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রানিত করবে , এ আয়োজন অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ে একনিষ্ঠ ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনে আপনাদের আন্তরিক ও সহযোগীতা প্রত্যাশ কামনা করছি।