মো: জহিরুল ইসলাম (পাশা):-
কুমিল্লা জেলা তিতাস উপজেলা ৬ নং ভিটিকান্দি ইউনিয়ন হরিপুর চকের বাড়ী ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যলয়ে আগুন জরুরী কাগজ পত্রসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই।
১৪ই অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া অসাস্থায়ী ইউপি কার্যলয়টি পরিদর্শন করেন তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটি এম মোর্শেদ।
এ বিষয়ে ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: বাবুল আহমেদ বলেন আমি জনগনের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি এটাই আমার অপরাধ,নির্বাচনের পর থেকে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আবুল হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দামকি দিয়ে আসছে, নির্বাচনের পর মানিককান্দি গ্রামে আবুল হোসেন মোল্লা এবং সাইফুল মেম্বার গংদের সাথে ঝগড়া লাগে, আমি নেতৃবৃন্দের নির্দেশে প্রশাসনকে অবহিত করে ঝগড়া স্থলে যাই উভয় পক্ষের উত্তেজনা এবং কন্টলহীন হওয়ায় আমি ওখান থেকে চলে আসি, উক্ত ঝগড়ায় আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে জহির নিহত হয়। নিহতের ভাই একটি হত্যা মামলা করে উক্ত মামলায় আমাকে আসামী করা হয় আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অর্ন্তবর্তিকালীন জামিন নিয়ে কোর্টে আত্নসমর্পণ করি। উক্ত হত্যা মামলায় তিতাস থানার পুলিশ চার্জশিটে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আবুল হোসেন মোল্লার সহযোগীরা বিভিন্ন ভাবে আমার ক্ষতি করার চেস্টা করছে। গত দুইদিন পূর্বেও আমার অস্থায়ী ইউপি কার্যলয়ে আগুন লাগানোর চেস্টা করে। আমার ধারণা আবুল হোসেন মোল্লার সহযোগীরা আমার অস্থায়ী ইউপি কার্যলয়ে আগুন লাগিয়েছে।
এ বিষয়ে ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আবুল হোসেন মোল্লা বলেন আমার ছেলে জহির হত্যা মামলাটি পুলিশের দেওয়া চার্জশীটের বিরুদ্ধে উক্ত মামলার বাদী আমার ছেলে নারাজী দেওয়া মামলাটি এখন পি বি আইতে তদন্তধীন অবস্থায় রয়েছে। আমার ছেলের হত্যা মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টায় এ আগুনের ঘটনা ঘটাতে পারে, এদরনের নাটকীয়তায় আমার ছেলের হত্যা মামলটি বিলম্বিত করতে পারবে না।