মো:ফিরোজ,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
বাউফলের কেশাবপুর ইউনিয়নের ৩১নং মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থাপিত একটি পল্ট্রি খামারের দুর্গন্ধে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহন ও প্রদান। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয়রা খামারটি অপসারণের কথা বললেও তা অপসারন করছেন না খামার মালিক। প্রতিকার পেতে আজ সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল-আমিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার কেশাবপুর ইউনিয়নের ৩১নং মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পল্ট্রি খামারটি গড়ে তুলেছেন স্থানীয় আজিজ আকনের ছেলে হালিম আকন । এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। এদিকে পল্ট্রি খামারের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খুলতে রাজি হননি ওই স্কুলের শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন,‘পল্ট্্ির খামার সড়ানোর জন্য হালিম আকনের সাথে আমার অনেকবার তর্ক-বিতর্ক,ঝগড়া হয়েছে । তারপরে তিনি পল্ট্রি খামারটি অপসারন করেননি।’
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনির মাষ্টার জানান, ১০-১২ বছর আগে পল্ট্রি খামার গড়ে উঠেছে। পল্ট্্ির খামারের মালিক হালিম আকন সম্পর্কে আমার চাচা হয়। আমি নব-নির্বাচিত স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। আমি এখন পর্যন্ত কোনো মিটিং করার সুযোগ পাইনি,আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ এসেছে। আমি তো প্রশাসনের লোক না,চাইলেই তো আমি পল্ট্্ির খামারটি সড়াতে পারবো না।
পল্টি কামারের মালিক হালিম আকন বলেন, ‘আমাদের জমিতে পল্টিফার্ম গড়ে তুলেছি। তাছাড়া গন্ধ স্কুলে যায় না।’
কেশাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালেহ্ উদ্দিন পিকু বলেন‘,বিষয়টি আমি জানার পর ওই স্কুল পরিদর্শন করি এবং পরিবেশ খারাপ দেখে, ইউএনও কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন বলেন,‘অভিযোগ পেয়েছি। আমি প্রানী সম্পদ অফিসারকে জানিয়েছি, ওনি তদন্ত করে আমাকে জানবে এরকম কিছু হচ্ছে কিনা। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।