গাজীপুরের বন্যপ্রাণী ডিভিশন বাউপাড়া বিটে পালন হচ্ছে নিরব ভুমিকা।

received_365811502819708.jpeg

ওমর ফারুক, রিপোর্টার:-

গাজীপুর বন্যপ্রাণী ডিভিশন বনবিভাগ এর বাউপাড়া বিট অধিনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ২২ নং ওয়ার্ড উত্তর গজারিয়াপাড়া( মর্দপাড়া ) এলাকার শাহিদুল ইসলাম যার রয়েছে বনের উপর একাদিক বাড়ি,

মাজার সাহেবের মুরগির পল্টি সংলগ্ন মর্দপাড়ায় তার জুতের একটি বাড়ির পশ্চিম প্বাশঘিরে দখল করা হয়েছে বনবিভাগের আনুমানিক ৭ শতাংশ জমি,এবং উত্তর প্বাশ দিয়ে বনের উপর গাঢ়া হয়েছে কারেন্টের খুটি,

জা হয়েছে বাউপাড়া বিটের বর্তমান বিট অফিসার সামসুদ্দিন সাহেব থাকা কালিন সময়ে, এর আগে শাহিদুল ইসলাম বাউপাড়া বিট অফিসার মোনায়েম হোসেনের থাকা কালিন সময়ে বাড়িটির পূর্বপ্বাশে গজারি বনের ভিতর দিয়েএই খুটিগুলো গেরেছিলেন,

যা খবর পেয়ে মোনায়েম হোসেন অভিযান করেন অভিযানের পর শাহিদুল ইসলাম খুটিগুলো উঠিয়ে ফেলে, মোনায়েম হোসেন থাকাকালিন খুটিগুলো আর গারাহয়নি কিন্তু বর্তমান সময়ে সামসুদ্দিন সাহেব বাউপাড়া বিটের দায়িত্ব নিতে না নিতেই শুরুহচ্ছে বনের উপর দিয়ে গড়া বিভিন্ন ধরনের কাজ,

শাহিদুলের এই বিষয় নিয়ে ফোন দেওয়া হয় বাউপাড়া বিটের সুবাস কে, তিনি কোন জবাব না দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বিট অফিসার সামসুদ্দিন সাহেব কে, আবার সামসুদ্দিন সাহেব কে বিষয় টি জানানোর পর ওনি বিষয়টি দেখবে বলেছেন দিনের পর দিন যাচ্ছে এখনো মিলেনি সেই দেখা এখনো উদ্ধার হয়নি সেই ৭ শতাংশ বনবিভাগের জমি আর খুটি,

দৈনিক দিন প্রতিদিনের তদন্ত সুত্রে আরো জানাগেছে মর্দপারার একই এলাকায় মৌজা আড়াইশো প্রসাদ এস এ ৬৮৬ ও আর এস ৪০৬ এবং খতিয়ান দাগ নং ৯৭ ও আরএস ২৫১ মোট ৩৩ শতাংশ জমিটি বাউপাড়া বিটের শেষ সীমানায় হোসেন ফ্যাশন এর দক্ষিণ পাশে নির্মাণ হচ্ছে ফাউন্ডেশন বাড়ি,

যেখানে যাওয়ার নেই কোন রাস্তা বাড়িটির পূর্ব পাশে আকাশমনি বাগান তার উত্তর পাশে গজারি বন গজারিবনের ভিতর দিয়ে যেতে হয় বাড়িটিতে,

এ বিষয়ে দৈনিক দিন প্রতিদিনের প্রতিনিধি বাড়িটির মালিক কে প্রশ্ন করলে জবাবে বলেন যে এটি আমার ডিমারগেশন করা,

কিন্তু এফ ডি প্লিয়ারের নাই কোন চিহ্ন এ বিষয়ে বাউপাড়া বিট অফিসার সামসুদ্দিন সাহেব কে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ওখানে গিয়েছিলাম,

এবং এটি ডিমারগেশন করা কাগজ দেখিয়েছে আমাদের, তারপরো কাজ করতে নিষেধ করে এসেছি এবং এটি মাপামাপি করে সীমানা নির্ধারণ করার পর কাজ করবে,

এখন দৈনিক দিন প্রতিদিনের প্রশ্ন যদি বাস্তবতায় হয় এমন তাহলে ডিমারগেশন হওয়ার পর কেনো হয়নি সীমানা নির্ধারণ আবার নতুন করে সীমানা নির্ধারণ করা হবে এটা বিট অফিসারের কেমন কথা,

একই বিট অধিনে বাংলাবাজার জাংজ্ঞালিয়া পাড়ায় সরকারি বনের জমির উপর স্থানীয় কিছু অসাধু লোক মারফতে তিন রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি করে দেওয়া হয় রোজিনা নামক এক মহিলাকে,

আবার সেই বাড়িটি মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে বিক্রি করেন আজম ডাক্তার নামক ব্যাক্তির কাছে,বিক্রির পর নতুন করে হচ্ছে মেরামতের কাজ,বাউপাড়া বিটের স্টাফ সুবাস দৈনিক দিন প্রতিদিন কে জানান,

আমরা এই বাড়িগুলো ভেঙ্গে দিয়ে এসেছি এবং যারা এগুলোর সাথে জড়িত বিট অফিসারের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মামলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে,মনে হচ্ছে এগুলো তাদের কাছে সাজিয়ে রাখা কথা,বলা পর্যন্তই শেষ এখনো নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা,

একই এলাকায় নুরনবির বাড়ির উত্তর পাশে বনের জমির উপর গড়া হাশেমের বাড়িতে ইটের গাতনি দিয়ে করা হচ্ছে দুটি রুম,এসব ব্যাপারেও বাউপাড়া বিট কর্মকর্তাদের রয়েছে নিরব ভুমিকা,

এতেই বন্দনেই সরকারি বনের জমি বিলুপ্ত হওয়ার পায়তারার হাতথেকে যেমন দক্ষিন গজারিয়া পাড়ার খাসপাড়া (রোজিনার চালা) নামক এলাকায় একসাথে নির্মাণ হয়েছে নতুন ও পুরাতন ৪ টি বাড়ির কাজ,

বাড়ির মালিকরা হচ্ছেন,১/মোঃ জাকির,২/মোঃ হাবিবুর ও মোছাঃ আসমা,৩/মোছাঃ মালেকা,এবং ৪/মোঃ আওলাদ,

এই কাজগুলো কি এভাবেই হয়েছে নাকি কোন মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে,এ বিষয়ে বাউপাড়া বিট অফিসার মোঃ সামসুদ্দিন সাহেব দৈনিক দিন প্রতিদন কে জানান,

এই বাড়িগুলোর বিষয়ে আমরা রাত্রে সংবাদ পাই তারপর সংবাদ পেয়ে আমরা রাত্রেই অভিযান করে ভেঙ্গে দিয়ে আসছি এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে,

এরূপ কথা শুনে দৈনিক দিন প্রতিদিন ঘঠনাস্থলে আবারো তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন ওখানকার বাড়ি গুলোর মধ্যে কোনো ভাংচুরের চিহ্ন নেই শুধুমাত্র যে বাড়িটি নতুন করে নির্মাণ হচ্ছিলো সেটির টিনগুলো সযত্নে সড়িয়ে রাখা হয়েছে এবং খুটিগুলো এখনো গাড়াআছে,

বন বিভাগের বাউপাড়া বিটের নাকের ডগা দিয়ে চলছে এসব কাজ,বন বিভাগের এই সরকারি জমি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সরকার দায়িত্ব দিয়েছেন বন কর্মকর্তাদের অথচ উনারা কেমন দায়িত্ব পালন করছেন,

তাহলে সরকারি বনের জমি বেচা কিনা, বন নষ্ট করে ঘরবাড়ি করা, আবার ডিমারগেশন ছাড়া বন নষ্ট করে জমির সীমানা নির্ধারণ না করেই দেওয়া হচ্ছে কাজ করার সুযোগ আসলে এগুলো কিসের বিনিময়ে হচ্ছে,

এমনটা বলা যায় যেসকল তথ্য সাংবাদিক সরেজমিনে গিয়ে যানতে পারে ততটুকুই প্রকাশ করা যায় কিন্তু অপ্রকাশ্য হয়ে থাকে এমন শতশত ঘঠনা,

এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ থেকে উধাও হয়ে যাবে বন, নষ্ট হয়ে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top