আলোচনায় আসা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক এমডি ও (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমানের গোপন রহস্য ফাঁস

received_324747550545831.jpeg

জি এম শরীফ, বিশেষ প্রতিবেদক :-
২০১৩ সালে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য ইন্সুরেন্স এর মাধ্যমে দেশে সর্বস্তরের মানুষের সেবা করা। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর অঙ্গীকার ৭ দিনে বীমা দাবি পরিশোধ এবং ডিউ ডেটে টাকা পরিষদ এই নিয়মে সারা বাংলাদেশে ২০৩ টি শাখার মাধ্যমে সুনামের সাথে সেবা দিয়ে আসছে কোম্পানিটি । জানাজায় গত কয়েকদিন আগে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস এর বিরুদ্ধে কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ করে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বি এস ইসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির এমডি ও সিইও মীর রাশেদ বীন আমান।অভিযোগের পর দুর্নীতির তত্ত্ব উদঘাটনে এরই মধ্যে বীমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( আইডি আরএ) বিশেষ নিরক্ষর হিসেবে হুদা ভাসি এন্ড কোংকে নিয়োগ দিয়েছে। মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস কোম্পানির এমডির আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দৈনিক দিন প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধিকে জানান রাশেদ আমার মেয়ের জামাই।সে বীমা কোম্পানির এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেছে। কিন্তু সে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের সম্মান হানী করেছে। আমাকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। ইন্সুরেন্স কোম্পানি মানুষের কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি বন্ধ থাকার কারণে ১৯৬০ সালে আলফা ইন্সুরেন্সে কাজে যোগদান করেন। তিনি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কাজের মাধ্যমে মানুষের সেবা করেছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবং বিমা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের কাছে দাবি যারা নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে হেও প্রতি পূর্ণ করতে চায় তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে, শাস্তির দাবি জানান তিনি। গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার কোম্পানির জরুরী ভোর্ড সভায় তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দেন। পরে একই সভায় কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মনিরুজ্জামানকে সর্বসম্মতিক্রমে কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এদিকে কেঁচো খুঁড়তে গিযে বেরিয়ে এলো সাপ। ভালোই চলছিল সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কার্যক্রম। তবে বিপত্তি বাঁধে হিসেবের গড়মিল বিষয়ে ম্যাবস অ্যান্ড জে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যাস এর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে। ওই অভিযোগের পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষ। সেই তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে মীর রাশেদের একের পর এক জালিয়াতি। অর্থ আত্মসাৎসহ নানা কেলেঙ্কারিতে বরখাস্ত হন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সিইও মীর রাশেদ বিন আমান। ইতিমধ্যে কোম্পানির পক্ষ থেকে রাশেদ বিন আমান ও তার দুর্নীতির সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৯ কোটি টাকা আত্মসাধের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার মোস্তফা গোলাম এমরান বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে মীর রাশেদ বিন আমান সহ কোম্পানির সাবেক সাত কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে, অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাৎসহ হুমকি প্রদানের অপরাধে পেনাল কোড ১৮৬০ এবং দন্ডবিধি ৪০৮/৪২০/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় ইতিমধ্যে রাশেদ সহ সাতজন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই সাত আসামিদের নাম – মীর রাশেদ বিন আমান – সাবেক এইচ আর ফাতেমা তামান্না সুইটি -হিসাব বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা সুমি সেন-সাবেক হেড অফ রাজেশ -সাবেক হেড অফ ফাইন্যান্স মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মোজামন্দর – হিসাব বিভাগের সাবেক ম্যানেজার মোঃ শিপন ভুঁইয়া ও সাবেক হেড অফ ইনভেস্ট সুজন তালুকদার। তবে রাশেদ বীন আমানের ৯ কোটি টাকা আত্মসাধের অভিযোগে মামলা করা হলেও মীর রাশেদের আত্মসাৎ কৃত অর্থের পরিমাণ বিপুল বলে জানা যায়। তার এই দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর পক্ষ থেকে একটি আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা যায়। এই বিষয়ে তদন্ত চলমান।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top