চকরিয়া পৌর এলাকায় অনুমোদন বিহীন আয়েশা  ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যুতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ

Messenger_creation_988981099705909.jpeg

চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি:-

চকরিয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড হালকাকারা স্টেশনপাড়াস্থ এলাকায় নিজ বাড়ীতে আয়েশা বেগম নামের ভুঁয়া সনদধারী এক ধাত্রী নিজেকে সনদধারী অভিজ্ঞ নার্স পরিচয় দিয়ে গড়ে তুলেছে আয়েশা  মিনি ক্লিনিক। তাহার বাড়ীতে গড়ে তোলা অবৈধ আয়েশা ক্লিনিকে আইনের  তোয়াক্কা না করে প্রতি নিয়ত চালিয়ে আসছে চেক- আপ ও ডেলিভারি কার্যক্রম,  এতে করে  কামাই করছে  হাজার হাজার টাকা। জানাগেছে সহজ- সরল গ্রাম পল্লীর দরিদ্র ডেলিভারী রোগীদের কম খরচে  নরমাল ডেলিভারির কথা বলে রোগীদের আকৃষ্ট করে  তাহার বাসায় নিজ নামীয় আয়েশা ক্লিনিকে এনেই তাহার যোগ্যতামত চেকআপ ও ডেলিভারি কার্যক্রম চালিয়ে কামাই করছে হাজার হাজার টাকা, এ  সময় রোগীদের আবস্থা বেগতিকের শেষ অবস্থায় গেলে পৌর শহরে অবস্থিত মা ও শিশু জেনারেল  হাসপাতালে রেফার করে থাকেন। এ ধারাবাহিকতায় ডুলাহাজারা চা- বাগান এলাকার বাসিন্দা পৌর শহরের ব্যাবসায়ী নুর মোহাম্মদ এর নবজাতক শিশু আয়েশা বেগমের ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারির কথা বলে নিজ বাড়ীতে নিজ ক্লিনিকে ৪ ঘন্টা রেখে দিয়ে বাচ্চা নষ্ট হওয়ার আশংকা বুঝে মা- শিশু হাসপাতালে রেফার করেন। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে ডুলাহাজারা চা- বাগান এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোছাইন এর পুত্র নুর মোহাম্মদ ব্যাবসায়ীক কারনে পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ড মৌলভীরচর এলাকায় তথা ধাত্রীর আয়েশা ক্লিনিক এলাকায় এলাকায় বাসা ভাড়ায় থাকেন সে সুবাদে গত ৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২ টার সময় নুর মোহাম্মদ তার স্ত্রী সায়মা আক্তারের প্রসবের  ব্যথা সংক্রান্ত বিষয়ে ধাত্রী আয়েশা বেগম কে মুঠো ফোনে অবগত করলে আয়েশা বেগম দ্রুত তাহার বাসায় নিয়ে আসতে বলেন কথামত তাৎক্ষণিক হালকাকারা স্টেশন পাড়াস্থ আয়েশা ক্লিনিক অর্থাৎ বাসয় নিয়ে যায়। নুর মোহাম্মদ জানান দীর্ঘ ৩/৪ ঘন্টা বাসায় রেখে ডেলিভারির চেষ্টা করলে তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে একাধিকবার রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দিতে বলার পর ও রেগী ছেড়ে না দিয়ে রোগী আবস্থা আশংকা জনক দেখে ভোর ৬ টার দিকে রোগী ছেড়ে দিলে আমার পরিচয় পৌর শহরের ট্রমা সেন্টার ( জেনারেল হাসপাতালে) এর দায়িত্বরত মুবিন কে সহ দুই জন ফোন করি রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু আয়েশা বেগমের হেল্পার নিলুপা জোর করে মা শিশু জেনারেল হাসপাতালেই নিয়ে যায় রোগীকে। নুর মোহাম্মদ আরো জানান মা শিশু জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রোগী দেখে বুঝতে পেরে আমার নিকট থেকে দায়বদ্ধতা না থাকার শর্তে দস্তখত আদায় করে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নবজাতক কে মৃত্যু অবস্থায় বের করে নেন এবং মৃত নবজাতক শিশুকে নিয়ে   সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন আমি তথায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভুঁয়া আয়েশা ক্লিনিক ও ভুঁয়া ধাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সেনা বাহিনী ও  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রসুতির স্বামী  নুর মোহাম্মদ  বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর (টিএইচও) ইনচার্জ বরাবরে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নিদর্শনাদেন উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top