লিটন মাহমুদ,মুন্সীগঞ্জঃ-
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, ভারতের পানি আগ্রাসন বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখানুপাতিক পদ্ধতিতে(PR) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবীতে, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির প্রত্যাশা পূরণে ও ইসলাম ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে- শুক্রবার বিকাল ৩ টায় উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বালিগাঁও ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে গন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বালিগাঁও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ সেলিম বেপারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কে এম বিল্লাল হোসাইন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী রফিকুল ইসলাম বাদল।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ জসিমউদদীন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম ঢালী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন শিকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার ছদর মাও: ইয়াসিন ফকির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন শেখ, সাধারন সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল্লাহ সরদার, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবীবুল্লাহ ফরাজী, ইসলামী যুব আন্দোলন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ রাসেল খান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জিসান সৈয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বালিগাঁও ইউনিয়ন শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন পাঠান প্রমূখ।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব কে এম বিল্লাল হোসাইন বলেন, ৫৩ বছরের ইতিহাস যদি আমরা পর্যালোচনা করি এই স্বাধীনতা আমাদের মৌলিক উদ্দেশ্য ছিল যে আমাদের ভোটের অধিকার। ভোটের অধিকার আমাদের হরণ করছে পাকিস্তান। এজন্যই আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরছিলাম। আমরা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার পরেই প্রথমে আমাদের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। ওয়ান এলিভেনের পরে সৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার ভোট বিহীন ক্ষমতা দখল করে মানুষের অধিকার হরন করে, মানুষকে হত্যা করে, গুম করে, আয়না ঘরে রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করে জুলুম করে ক্ষমতায় গেছে, সংসদে গেছে। তারা কি করছে, তারা ৯৩ বিলিয়ন ডলার চুরি করছে, বিদেশে পাচার করছে, (৮২ হাজার কোটি টাকা)। যাদের সন্তান, যাদের বিবি কেউ দেশে বসবাস করে না। একটা জড়িপে আসছে, ৯০% মন্ত্রী এমপির ফ্যামিলি বাহিরে নাগরিত্ব গ্রহন করছে। আপনারা জানেন, সাবেক ভুমি মন্ত্রী ছিলেন আওয়ামীলীগের ২৬৬টা বাড়ি করছে কানাডাতে, আপনার আমার জনগণের টাকায়। এসআলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। এই এস আলম গ্রুপের জন্মদাতা কে? এর জন্মদাতা আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনা। টাকা তো আওয়ামীলীগের বা এস আলমের না। আপনার আমার আমানতের টাকা। আওয়ামীলীগ সরকার যেভাবে মিথ্যা মামলা করছে, আমরা নতুন করে দেখতেছি, “আবার সেই মিথ্যা মামলা হচ্ছে, মাডার হইছে বরিশাল মামলা হইছে বিক্রমপুর, বিক্রমপুরে মাডার হইছে মামলা হইছে কুয়াকাটা, এজন্যই কি ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান হইছিল? যার ভেতরে আল্লাহর ভয় নাই সে ১০০% চুরি করবে, দুর্নীতি করবে তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবেন না। বিএনপি-আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় যায় তারা রাজনীতিটাকে একটা অবৈধ ব্যবসা বানায়। এদের থেকে দুরে থাকুন।