লিটন কুমার, কাশিয়ানী:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সটি ১৯৬১ সালে ৬ একর ৩১ শতাংশ ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।২০২০ সালে এটিকে ৫০ শয্যা এবং ২০২১ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।প্রতিষ্ঠান টিতে অত্র এলাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী থানা লোহাগড়া (নড়াইল) এবং আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) এর প্রচুর পরিমাণ রোগিরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসার মান নিয়ে কোন প্রশ্ন না থাকলে ও হাসপাতালে রোগির সাথে আসা স্বজনদের অভিযোগের অন্ত নেই।এখানে নেই কোন নিরাপত্তারক্ষী, অরক্ষিত সীমানা প্রাচীর, মূল ফটক থেকেই চোখে বখাটে নেশাগ্রস্থ সহ স্কুল পড়ুৃয়া শিক্ষার্থীদের আড্ডা।সন্ধ্যায় চোখে পড়ে মাদকসেবার চিত্র। এছাড়া ও অত্র এলাকায় বিভিন্ন সময়ে মারামারি গোলযোগ হলে তারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়।এখানে এসে ও তারা নতুন করে বিবাদের সৃষ্টি করে থাকে। সম্প্রতি ঘটে যায় এমন একটি ঘটনা।এমন ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েন ডাক্তার সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার বিষয়ে কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের চেয়াম্যান জনাব শিকদার মোহাম্মদ আলী খোকন সহ স্থাণীয়দের নিকট এর কারন জানতে চাইলে তারা সংবাদকর্মী ও গণমাধ্যমকে বলেন-উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে আনসার বাহিণী মোতায়েন করলে এ সমস্যার অবসান ঘটবে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহমুদুল হাসান সত্যতা স্বীকার করে বলেন-বর্তমানে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যা স্বীকৃতি থাকলে ও জনবল সহ নানা জটিলতার কারনে ব্যাহত হচ্ছে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা।এ প্রতিষ্ঠানে নেই কোন নিরাপত্তারক্ষী। এমন কি এখানে এই পদ ও নেই।তিনি সংবাদ কর্মী ও গণমাধ্যমকে সর্বোপরি বলেন-এখানে প্রতি নিয়ত ই নিরাপত্তাহীনতা ভোগান্তীতে পড়তে হয় ডাক্তার সহ কমর্কর্তা কর্মচারীদের। কাশিয়ানী,গোপালগঞ্জ থেকে প্রতিনিধি লিটন কুমার বিশ্বাস-আইডি নং-১৬২।