রায়হান খন্দকার:
2010 সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষার্থীদের কে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে আসছে। প্রথমদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর শতভাগ সক্ষমতা না থাকার কারণে সরকার আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকেও পাঠ্যপুস্তক আমদানি করেছে। পর্যায়ক্রমে দেশীয় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানসমূহ মুদ্রণ-বাধাই সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের শতভাগ মুদ্রণ বাধাই এবং সরবরাহ কাজ এর যোগ্যতা অর্জন করে। বিগত পাঁচ সাত বছর যাবত শতভাগ বই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গুলোই মুদ্রণ বাধায় সরবরাহ কাজ সম্পন্ন করে আসছে।বিগত তিন বছর যাবত একই পরিবারের দুইটি প্রতিষ্ঠানের (অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস এবং কচুয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স)কাছে জাতীয় পাঠ্য পুস্তকের 50 থেকে 70 ভাগ কাজ প্রদানের অভিযোগ করছে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিত। বিগত বৃহস্পতিবার মুদ্রণ শিল্প সমিতির কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, সাবেক সভাপতি রাব্বানী জব্বার, তোফায়েল খাঁন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জহরুল ইসলাম সহ মূদ্রণ শিল্পের নেতারা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন তথ্য এবং উপাত্ত তুলে ধরেন।এই দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের সক্ষমতা কয়েক গুণ বেশি কাজ প্রদান করায় প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট সময় মত এবং বইয়ের গুণগত মান বজায় রেখে বই সরবরাহ করতে পারছে না। বিগত শিক্ষা বছরে প্রতিষ্ঠানটি জানুয়ারির ২০২৩ সালের মধ্যে সকল পাঠ্যপুস্তক বই সরবরাহ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ৪/৫ মাস পরে অর্থ্যাৎ এপ্রিল/মে পর্যন্ত বই সরবরাহ করার সুযোগ দিয়েছে এনসিটিবি, কিন্তু পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এ বিলম্ব নথিভুক্ত না করে যথাসময়ে সরবরাহ করেছে বলে নথিভূক্ত করে। সফটওয়্যার জালিয়াতির মাধ্যমে বোর্ড চেয়ারম্যান মো: ফরহাদুল ইসলাম এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রক মো: সাইদুর রহমান এর নির্দেশে এই অনিয়মটি সংগঠিত হয় দাবি মুদ্রণ শিল্প সমিতির। সমিতি আ রো দাবি করে অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস এবং কচুয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স সরবরাহকৃত পাঠ্যপুসত্মকে ৮০ জিএসএম এর স্থলে ৬০ জিএসএম এর অত্যন্ত্ম নিম্নমানের মুদ্রণ কাগজ ব্যবহার করে,সকল প্রতিষ্ঠানের ন্যায় একই মেশিন থাকা সত্ত্বেও এন সি টি বি অবৈধ সুবিধার মাধ্যমে অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস এবং কচুয়া প্রিন্টিং প্রেস কে মেশিন প্রতি প্রতিদিন ১০০০ রিম মুদ্রণ ক্ষমতা প্রদান করে আসছে যেখানে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে একই মেশিনে দৈনিক সক্ষমতা ৪০০ রিম। এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে তার সক্ষমতা এত বেশি কাজ প্রদান করায় সঠিক সময়ে বই সরবরাহের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ফলশ্রুতিতে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীরা বই হাতে পাচ্ছে না, এতে এই জাতীয় মহৎ উদ্দেশ্যটি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে সমিতির নেতারা দাবি করেন তারা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা সহ সকল বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দুর্নীতির হতা চেয়ারম্যান এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রকের অবিলঙ্গ অপসারণ দাবি করছেন |