ফয়সাল আলম সাগর,বিশেষ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় নবজাতকে নিয়ে হট্টগোল হয়েছে পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারে। সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের পিতৃ পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঝুলন্ত আছে নবজাতক শিশুটির পিতৃ পরিচয়। অপরদিকে ভূমিষ্ট নবজাতককে নিয়ে পল্লী চিকিৎসক এর চেম্বারে হয়েছে ব্যাপক হট্টগোল। প্রবাসীর স্ত্রী নবজাতককে কোলে নিয়ে হাজির হন এক পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারে। এসময় ওই নবজাতক পল্লী চিকিৎসকের ঔরশজাত সন্তান দাবী করে নবজাতককে পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারে রেখে সটকে পড়ে ওই নারী। এসময় দেখা দেয় হট্টগোল। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ব্যস্ততম কেন্দ্র টইটং বাজারে মেসার্স রওজা মেডিকো ফার্মেসীতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে পরকীয়া সম্পর্কে বিবাহিত দুই নর নারীর এ সম্পর্ক জানাজানি হয়। এর সুত্র ধরে প্রবাসীর স্ত্রী ও পল্লী চিকিৎসকের গোপনে দৈহিক সম্পর্কে ওই নবজাতক পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয় এ খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পরকীয়ায় কারণে স্বামী মালয়েশিয়া থেকে ভিডিও বক্তব্য দেন।
জানাগেছে, আড়াই বছর আগে টইটংয়ের কাচারী পাহাড়ের জহির আলমের ছেলে জামাল হোসেন মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। অভিযোগ উঠেছে, স্বামী প্রবাসে থাকা অবস্থায় জামাল হোসেনের স্ত্রী কাউসারা বেগম ও পুর্ব টইটং গুদিকাটা এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে পল্লী চিকিৎসক নাহিদুল করিমের মধ্যে পরকীয় সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে তারা দুজনেই বিবাহিত। নাহিদের প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে মারা যান। তিনি এক সন্তানের জনক। অন্যদিকে কাউসারা বেগম দুই সন্তানের মা।
জামাল হোসেনের মা ফরওয়াজ বেগম জানান, ১১ নভেম্বর পুত্রবধূ কাউসারা বেগম একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। আমার ছেলে জামাল হোসেন মালয়েশিয়া থাকে। ছেলের অনুপস্থিততে এ নবজাতকের জন্ম দেওয়া নিয়ে আমরা খুবই বিভ্রতকর অবস্থায় পড়েছি। মানুষকে চেহেরা দেখাতে পারছিনা। তোপের মুখে পড়ে ভুমিষ্ঠ শিশুকে নিয়ে পুত্রবধূ কাউসারা রাজাখালী বাপের বাড়িতে চলে যায়। কিছুদিন পর দেখি জন্ম হওয়া শিশুকে নিয়ে টইটং বাজারে ডাঃ ফরিদের ওষুধের দোকানে এসে ফরিদের ছেলে নাহিদকে দিয়ে চলে যায়। এরপর আমরা জেনে গেছি নাহিদ ও কাউসারের পরকীয়া সম্পর্কের কথা। মুলত এ শিশু নাহিদের সন্তান।
এ ব্যাপারে নবজাতকের মা কাউসারা বেগম বলেন, আমি সহজ সরল ভাবে বিশ্বাস করেছি নাহিদকে। আমার স্বামী মালয়েশিয়া থাকে। বিয়ের প্রলোভনে পড়ে আমরা দুজনের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে। আমি টাকাও দিয়েছি নাহিদকে। বাচ্চাটি নাহিদের। বিচার দিয়েছি। সে এখন অস্বীকার করছে। আমি দু’কূল হারিয়েছি। বাচ্চাটি ডিসেম্বরের এক তারিখ নাহিদের চেম্বারে দিয়ে এসেছি।
কাউসারা বেগমের স্বামী জামাল হোসেন মালয়েশিয়া থেকে ভিডিও বার্তায় জানান, আমি বিদেশে থাকি। এ সুবাধে নাহিদ ও কাউসারা পরকীয়ায় জড়ায়। বহু টাকা আত্মসাৎ করেছে কাউসারা। আমি তারা দুজনের কঠোর শাস্তি চাই। এখন আমার টাকাও গেছে, সংসারও গেছে।
এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক নাহিদুল করিম তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এসব ষড়যন্ত্র। এলাকায় ভালো করে চলি বিধায় কিছু লোক উসকানি দিচ্ছে।