মোঃ জুয়েল রানা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামে যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মোল্লা হত্যার জেরে একমাস অতিবাহিত হলেও আসামি পক্ষের বাড়ি-ঘর ভাংচুর-লুটপাট থেমে নেই।
বিবাদীরা অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর মামলার ১নং আসামি (কারাবন্দী) সাইফুল ইসলাম এর দশ রুম বিশিষ্ট বাড়িটি ঘটনার দিনই অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। তারপর পর্যাক্রমে একাধিক আসামির বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেও ক্ষান্ত হননি বাদী পক্ষের লোকজন।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে মানিককান্দি গ্রামে গিয়ে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত ১নং আসামি সাইফুল ইসলামের অগ্নিক্ষত বাড়িটি ভাংচুর ও লুটপাট করে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। পিলারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বিল্ডিং এর ছাদটুকু্। নিচে পরে আছে বিল্ডিংয়ের ধ্বংসস্তূপ। খুঁজে পাওয়া যায় নেই দরজা, জানালা ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র।
এছাড়াও জহির হত্যা মামলার আসামি মোকারমদের ৫ টি ঘর ও মোহন ভূইয়ার ৩ টি ঘরে ব্যপক ভাংচুর করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে বিবাদী পক্ষের।
এবিষয়ে মানিককান্দি গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমানসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ৭ জানুযারি শনিবার রাতে বিল্ডিং ভাঙ্গার আওয়াজ পেয়েছি, আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হই নাই।
হত্যা মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই এসহাক মোল্লা বলেন, আমর ভাইকে হত্যা করে উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়েছে, আমরা পুলিশের ভয়ে এলাকা ছাড়া কে বা কারা বিল্ডিং ভাংচুর করেছে আমরা জানিনা।
তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, বিল্ডিং ভাঙ্গার বিষয়টি শুনেছি এবং বিল্ডিংয়ের কিছু দরজা জানালার গ্রীলসহ ৫ জনকে আটক করে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করেছি।
উল্লেখ্য গত ৬ ডিসেম্বর বিকেলে জমির মালিকানা নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জহিরকে।