মো:ফিরোজ, বাউফল, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বাউফলে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সুদখোরের নির্যাতনের শিকার হয়ে ভিটামাটি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক হিন্দু পরিবার। ওই পরিবারটি সুদখোরের হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে (৭ফেব্রæয়ারি) পৌরশহরে একটি বানিজ্যিক ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী জয়েন্ত্র বিশ্বাস(৩৫) বলেন,‘‘ বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের মানখাম গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জালাল হাওলাদারের ছেলে মোঃ কামাল হাওলাদারের (সুদি কামাল) কাছ থেকে দশ বছর আগে বিশেষ প্রয়োজনে সুদের ওপর ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। তিন বছর আগে জমিজমা বিক্রি করে সুদ-আসলে প্রায় ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। তিন বছর পর আবারও তিন লাখ টাকা বাদি করনে সুদি কামাল। টাকা দিতে না পারায় আমাদের বসত ঘরে হামলা করেন সুদি কামাল ও তার ভাই মোঃ রফিক। তাদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে বাঁচতে মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গত চার মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। একমাস আগে ৪০কড়া জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে কামাল ও তার পরিবারের লোকজন।”
জয়ন্ত্র বিশ্বাসের বৃদ্ধ মা কানন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন,‘‘ যেটুক জমি ছিল তা বিক্রি করে সুদের টাকা দিয়েছি। এখন ভিটা ছাড়া কিছু নেই। সেই ভিটায় থাকতে পারছি না। সুদের টাকার জন্য বাড়িতে এসে ঘর দুয়ার ভাঙে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করে। আমার ছেলেকে মারার হুমিক দেয়। তাই ঘর-বাড়ি ছেড়ে মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।”
সুদ ব্যবসায়ী কামালের অত্যাচার নির্যাতনের কথা সাংবাদিকদের জানানোর কারণে জয়ন্ত্র বিশ্বাসের বোনের ছেলে আশিসকে মোবাইল ফোনে হুমিকও দিয়েছে সুদি কামাল। হুমিকর ফোন রেকর্ডে কামালকে বলতে শোনা যায়, ‘সাম্বাদিক আমার কি করবে। আমি কোনো সাম্বাদিক জিগাই না। আমি সাম্বাদিক মারি। সাম্বাদিক আমার কাছে পাঠিয়ে দিস।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোঃ কামাল হাওলাদার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন,‘ আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে জমি দেওয়ার কথা বলে। যার স্বাক্ষী আছে। এহন আমারে জমির দলিল দিতে হবে।’
বাউফল থানার ওসি মোঃ আল মামুন বলেন,‘লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’