বান্দরবানে দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত

received_683604543767733.jpeg

স্টাফ রিপোর্টর,ডেভিড সাহা:

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা বিছিন্নবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সাথে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক (সংস্কার) দুই গ্রুপে গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বান্দরবানে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ( ৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিকে রুমা- রোয়াংছড়ি সড়কের খামতাং পাড়া এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল মান্নান।

তিনি জানান, সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতদের গায়ের ইউনিফর্ম পড়া ছিল বলে জানান।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খামতাংপাড়া রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এটি রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। গতকাল সন্ধ্যার দিকে সেখানে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর পাড়ার বেশির ভাগ বাসিন্দা রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় এসে আশ্রয় নেন।

এদিকে খামতাংপাড়া এলাকা থেকে আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে আসা লোকজন রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমি ভবনের আশ্রয় নিয়েছেন ১৮৩ জন, রুমা উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন আরো ২২টি পরিবার। পালিয়ে আসা সবাই খিয়াং জনগোষ্ঠী।

পালিয়ে আসা খামতাম পাড়া বাসিন্দা অলিপার খিয়াং, শৈহ্লাপ্রু খিয়াংসহ আরো কয়েজন জানান, গতকাল রাতে ও সকালে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। ওই গুলি শব্দ শুনে আমরা ভয়ে পালিয়ে এসেছি। কোন পক্ষে সাথে গোলাগুলি ঘটেছে সে ব্যাপারে জানা যায়নি।

বান্দরবান সেনাজোনের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফাহিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত খামতাং পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে চলছে। তাদের এই উৎপাত কার্যক্রম কারণের গ্রামবাসীরা সহ্য করতে না পেরে রোয়াংছড়ি ক্যাম্পে পালিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনী ও বেসামরিক বাহিনী সহযোগীতায় পালিয়ে আসা গ্রামবাসীদের জন্য আশ্রয় ও খাবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদের রাখব। এবং পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে তাদেরকে ওই এলাকার হস্তান্তর করা হবে।

বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষে গোলাগুলি সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৮ জনের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। কি কারণে গোলাগুলি সূত্রপাত ঘটেছে সে ব্যাপারে জানা যায়নি। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top