মোঃ ফিরোজ,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর বাউফলে বিরোধীয় জায়গায় পাকাভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার সকালে কালিশুরী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কালিশুরী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম তালুকদারের ছোট বোন মৃত রিজিয়া বেগমের ওয়ারিশ স্বামী আলাল হাওলাদার (৬০) তার দুই ছেলে কামাল হোসেন(৩৮)ও মো. ইদ্রিস হাওলাদার এবং দুই মেয়ে মোসা. পারভীন বেগম(৪০) ও মোসা. সাবিনা বেগমের কাছ থেকে দেড় বছর আগে ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন একই ইউনিয়নের কবিরকাঠী গ্রামের মো. সুলতান শিকদার। এ ঘটনা জানার পরে রাজিয়া বেগমের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমি ফিরে পেতে আদালতে টাকা দাখিল মামলা করেন(মামলা নং-১৭০/২২)। টাকা দাখিলের পরে সুলতান শিকদার তড়িঘরি করে ওই জমি থেকে কালিশুরী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে আড়াই শতাংশ ও সূর্যমনি ইউনিয়নের গুলবাগ গ্রামের সবুজ শিকদারের কাছে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। পরে সবুজ সিকদার ওই জমিতে পাকাভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলে সিরাজুল ইসলাম পটুয়াখলী আদালতে ওই জমির ওপর অর্ন্তবর্তীকালীন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন এবং আদালত সবুজ ও জাহাঙ্গীর হাওলাদার উভয়ের উপর ৩রা নভেম্বর ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আজ বুধবার সকালে অপর ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জায়গায় পাকাভবন নির্মানের কাছ শুরু করলে সিরাজুল ইসলাম কাজে বাধা দেওয়া স্বত্বেও তা উপক্ষো করে জাহাঙ্গীর কাছ চালিয়ে যায়। পরে সিরাজুল ইসলাম বাউফল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পরে জাহাঙ্গীর হোসেন পুনরায় কাজ শুরু করেন। পুলিশকে অবহিত করার পরেও তারা কোন ভুমিকা নেয়নি।
সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শওকত তালুকদার বলেন, আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ পাকাভবন নির্মান করছে। আমরা বাধা দিলেও তারা শুনছেন না। পরে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তাতেও কাছ হয়নি । প্রতিপক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোন তোয়াক্কাই করেন নাই। আমার মনে হয় পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা পাকাভবন নির্মান করছেন।
বাউফল থানার উপপরিদর্শক মো. নাসির হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।