বিগো আইডি প্রতারণার ফাঁদ

20230708_154852.jpg

দিন প্রতিদিন ডেস্ক :

ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনে দিনে মানুষের সাথে প্রতারণার নতুন কৌশল ব্যবহার হচ্ছে। তেমনি বিগো আইডি যেন অসামাজিক কার্যকলাপ ও প্রতারণার একটি ফাঁদ। ডিজিটাল বাংলাদেশে আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তিগত সুবিধা। প্রযুক্তিগত এসব সুবিধাকে কেউ ব্যবহার করছে প্রয়োজনে আবার কেউ ব্যবহার করছে অসামাজিক কার্যকলাপে।তেমনি এক আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রযুক্তিগত সুবিধা হচ্ছে বিগো অ্যাপস। বিকাশে টাকা পাঠালেই তাহলেই সব হচ্ছে
‘ভিগো লাইভ অ্যাপস ‘ তরুণীরা শরীর দেখিয়ে আহ্বান জানায় তরুণদের অন্ধকারে গভীর রাতে তরুণ সমাজকে নিয়ে যায় অশ্লীলতার বেড়াজালে। এই অ্যাপস এসে গভীর রাতে নারীরা শুরু করে অশ্লীলতা । অনেকের শরীরে কোন কাপড় থাকে না,আবার অনেকের শরীরে কাপড় থাকে মুখে থাকে অনেক মেকআপ।বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে লাইভে এসে বিকাশ নাম্বার দিয়ে টাকা পাঠাতে বলছে। টাকা পাঠালেই আমার নগ্ন শরীর দেখতে পারবে এরকমও বলছে। তারা বলছে আমি তোমাদেরকে ইমো হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার দেবো সেখানেই আমাকে নক করলে পাবে। বলছে ফোন সেক্স করলে তাড়াতাড়ি বিকাশ করুন। এভাবেই দেশের তরুন সমাজ জড়িয়ে পড়েছে অশ্লীলতায়। প্রযুক্তির উন্নয়নে আমরা ভিডিও কলে আত্মীয়-স্বজন ও নিজেদের মানুষের সঙ্গে কথা বলি। দূরের মানুষকে কাছে এনে সরাসরি কথা বলতে পারি। কিন্তু এই প্রযুক্তিকেই ব্যবহার করে কিছু অসাধু নারী সমাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অসাধু কার্যক্রম। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা তাদের এই ফাঁদে পড়ছে বেশিরভাগ বাংলাদেশী প্রবাসী তরুন। তাদের একাকীত্ব ঘোচাতে ভিগো অ্যাপস এর মত বিভিন্ন ধরনের লাইভ ভিডিও গ্রুপসে জড়িয়ে পড়ে। আর এসব অ্যাপসের মাধ্যমে যৌনতার ফাঁদে ফেলে প্রবাসী যুবকদের কাছ থেকে ব্যাংক একাউন্ট বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে কাউকে।এই অ্যাপস এর মাধ্যমে প্রতারিত ও পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইলের শিকার অনেক তরুণ ব্যাপার হচ্ছে দেশের অনেক তরুণ তরুণী কিন্তু বিষয়টি লজ্জার ব্যাপার হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা অন্য কারো সহায়তা নিতে পারছে না। এই অ্যাপস এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানা যায় এটি ব্যবহার করে একই সঙ্গে টেক্স ও ভিডিও চ্যাট করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে একটি বোর্ডে ভিডিও চ্যাটে যুক্ত হতে পারেন ৮ জন পর্যন্ত।তারা একই সঙ্গে নিজেদের দেখতে ও শুনতে পারেন।এছাড়া তাদের চ্যাটিং ভিডিও দেখতে পারেন অ্যাকাউন্ট ধারী যে কেউ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখানে অশ্লীল গল্প ছবি ভিডিও শেয়ার করা হয়। অনেকেই খুঁজতে থাকেন প্রতারণার সুযোগ। কেউ ফাঁদে পা দিলেই তার সর্বস্ব লুটে নেওয়ার উপায় তাদের জানা রয়েছে ২০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত দিলেই দেখা যাবে তরুণীর নগ্ন শরীর করা যাবে ভিডিও সেক্স। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জানা যায় শুধু সময় কাটানো কিংবা আগ্রহের বসে অ্যাপস টি ইন্সটল করে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান বিগো লাইভে যারা নিজেকে প্রদর্শন করে তাদের বলা হয় ব্রডকাস্টার লাইভ রুমে যারা দর্শক থাকে তাদের গেস্ট বলে। ব্রডকাস্টাররা গেস্টদের ইচ্ছেমতো লাইভে সংযুক্ত করেন। অনেকে এই ব্রডকাস্টদের নেশায় পড়ে যান। তাই আর ছাড়তে পারেন না। এমনই কিছু ব্রডকাস্টের নাম হলো মাহি, যার আইডি নাম্বার- 90322 939,হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার- 019 836 32 035, বিকাশ নাম্বার -0179 306 2512 । গত০২/০৭/২০২৩ইং তারিখে রাত ৪টায় এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে তার সঙ্গে ভিডিও সেক্স করবে বলে অর্থ নিয়ে আর যোগাযোগ করেনি। এভাবেই প্রতারিত হয়ে আসছেন দেশের যুবক সমাজ সহ সাধারণ মানুষ ।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top