দিন প্রতিদিন ডেস্ক :
এ বছরটা ভালোই মাতাচ্ছে ডিসি কমিকসের সুপারহিরোরা। একের পর এক সিনেমা দিয়ে রীতিমত ব্যস্ত রাখছে ভক্তদের। গত জুনে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য ফ্ল্যাশ’ ব্যাপক হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলো। তার আগে সাড়া জাগিয়েছে ‘শাজাম ২’।
দু’টি ছবিই বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও নতুন ছবি নিয়ে আসছে ডিসি স্টুডিওস। আরও একবার প্রস্তুত হওয়ার সময় হয়েছে ডিসি কমিকসের সুপারহিরো ভক্তদের। এবারের ছবির নাম ‘ব্লু বিটল’।
ডিসি এক্সটেন্ডেড ইউনিভার্সের ১৪তম ছবি এটি। ডিসি কমিকসের চরিত্র জেইমি রেইসকে ভিত্তি করে ছবিটি পরিচালনা করেছেন অ্যাঞ্জেল ম্যানুয়েল সটো। কেন্দ্র্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মার্কিন অভিনেতা জোলো মারিডুয়েনা। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন আদ্রিয়ানা বারাজ্জা, ডামিয়ান আলকাজার, রাউল ম্যাক্স ট্রুজিলো, সুসান সারানডন, জর্জ লোপেজসহ আরও অনেকে।
১৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ২৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ডিসি কমিকসের এই সুপারহিরো ছবি। এদিকে, মুক্তির পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে চমক দেখিয়েছে ‘ব্লু বিটল’। বেশ কিছুদিন ধরে রাজত্ব করা ‘বার্বি’কে হটিয়ে মার্কিন বক্স অফিসে শীর্ষস্থান দখল করেছে ছবিটি। বক্স অফিস সূত্র অনুসারে, ‘ব্লু বিটল’-এর প্রথম সপ্তাহান্তে আয় ২৫.৪ মিলিয়ন, যেখানে ‘বার্বি’র চতুর্থ সপ্তাহান্তের আয় ২১.৫ মিলিয়ন।
এক মাস ধরে মার্কিন বক্স অফিসে আধিপত্য বিস্তার করা ‘বার্বি’কে অবশেষে ছাড়িয়ে গেছে ‘ব্লু বিটল’।
গল্পে দেখা যাবে, জেইমি রেইস কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরে তার নিজের শহর পালমেরা সিটিতে ফিরে আসে। স্কারাবের সিম্বিওটিক হোস্ট হওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়। এটি একটি প্রাচীন এলিয়েন বায়োটেকনোলজিকাল অবশেষ যা তাকে শক্তিশালী সুপারহিরো ব্লু বিটলে পরিণত করে। ভিনগ্রহের একটি বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে অন্যরকম এক শক্তি পায় জেইমি। আকাশে ডানা মেলে ওড়া, অত্যাধুনিক অস্ত্র, রক্ষাকবজের মত সব সুপার পাওয়ার রয়েছে তার। আধুনিক এই বায়োটেকনোলজি নিজে থেকেই তার মালিক খুঁজে নেয়। ব্লু বিটলকে চ্যালেঞ্জ দিতে এখানে ভিলেন চরিত্রে দেখা যাবে রাউল ট্রুজিলোকে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে ছবিটির পরিকল্পনা করা হয়। এইচবিও ম্যাক্স থেকে আনা হয় অ্যাঞ্জেল ম্যানুয়েল সটোকে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছবিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। আর কেন্দ্রীয় চরিত্রে মারিডুয়েনাকে নির্বাচন করা হয় আগস্টে। প্রথমে ছবি মুক্তির পরিকল্পনা ছিলো ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। পরবর্তীতে তারিখ পেছানো হয়। সাম্প্রতিক সময়ের বড় বড় বাজেটের ছবির ভীড়ে ১২০ মিলিয়ন বাজেটের এ ছবিকে কিছুটা ম্রিয়মান মনে হতে পারে। তবে ছবিটি দেখে এমন ধারণা পরিবর্তন হয়ে যাবে বলে মনে করেন পরিচালক। ‘হলিউড রিপোর্টার’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সটো বলেন, ছবিতে এমন কিছু রসদ আছে যা দর্শকদের আনন্দ দিতে বাধ্য।